সেবা ডেস্ক: শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ঝগড়ারচর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানান অনিয়ম ও দূর্নিতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, ঝগড়ারচর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়টি শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ভেলুয়া ইউনিয়নে অবস্থিত। বিদ্যালয়টি ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে স্থাপিত হয়ে শেরপুর জেলায় সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছিল। গড়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিগত সময়গুলোতে প্রায় ১৩ থেকে ১৫শত জন ছিল। কিন্তু ২০১৫ সালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মােঃ মাহফুজুল হক নিয়ােগপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে বিদ্যালয়ের সকল কাজকর্ম ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দের কাছে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে সঠিকভাবে উপস্থিত থাকেন না বললেই চলে। তার দায়িত্বের অবহেলার কারনে সচেতন অভিভাবকগণ তাদের সন্তানদেরকে অন্যান্য বিদ্যালয়ে ভর্তি করাচ্ছেন। বর্তমানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ শত’র নিচে চলে এসেছে। ফলে দিন দিন বিদ্যালয়টি ধ্বংসের মুখে পতিত হচ্ছে। এতে করে এলাকাবাসী ও সচেতন অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির কাছে জানতে চাইলে, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষক মােঃ মাহফুজুল হক নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে উপবৃত্তির টিউশন ফি উত্তোলন করে স্কুলের ফান্ডে জমা না করে নিজেই আত্মসাৎ করার চেষ্টা করে আসছেন ও বিদ্যালয়ের এফ, ডি. আর থেকে যে লভ্যাংশ হয়েছে তা উঠিয়ে বিদ্যালয়ের জেনারেল ফান্ডে জমা না করে নিজেই তছরুপ করেছেন। তিনি আরও জানান, বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের পশ্চিম পার্শে মেইন রােড সংলগ্ন জমি দোকান পাটের জন্য ১৫-১৬ টি প্লট করে ম্যানেজিং কমিটির কোন রেজুলেশন ছাড়াই অবৈধভাবে লীজ দিয়ে হাজার হাজার টাকা আত্মসাৎ করছে। যা বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের সৌন্দর্যকে মারাত্মকভাবে নষ্ট করেছে। যে কারনে তাকে বেশ কয়েকবার কারন দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে, কিন্তু এখনও সন্তোশজনক কারণ দর্শাতে পারেননি।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মাহফুজুল হকের মতামত জানতে চাওয়া হলে, তিনি আনিত অভিযোগকে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত বলে জানান।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।