সেবা ডেস্ক: জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন ধানুয়া কামালপুরের সাতানিপাড়া ও বালুরচর এলাকায় ভয়াবহ হাতির তান্ডব শুরু করেছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
১৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রায় ৩ একর জমির সরিষা ক্ষেত ধ্বংস করেছে হাতির দল। এ পর্যন্ত সাতানিপাড়া ও বালুরচর গ্রামের কয়েকজন কৃষকের সরিষা ক্ষেতে তান্ডব চালায়।
স্থানীয় বাসিন্দা জুবায়ের হোসেন, মজনু মিয়া, আপেল, আব্দুর রহিম, সোলায়মানসহ অনেকেই জানান, সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে প্রায় ৬০/৭০টি হাতির পালটি সীমান্তবর্তী কাটাতারের গেট দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরের প্রবেশ করিয়ে গেটগুলি বন্ধ করে দেয় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ সময় উচ্চ আলো সম্পন্ন বিদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে তারা । পরে সারারাত তন্ডব চালিয়ে ভোর বেলায় আবার সেই গেটগুলিখুলে দিলে আবার ভারতে প্রবেশ করে হাতির দল। গত দুই দিন যাবত এই হাতির তান্ডব অব্যাহত রয়েছে বলে জানায় স্থানীয় অধিবাসীরা।
প্রতিবছর আমন মৌসুমের শেষ দিকে অর্থাৎ অক্টোবর মাসের শেষের দিকে হাতির উপদ্রুপ বেশি হয়। এসময় আমন মৌসুমের পাকা ধান ধ্বংস করে। এবার মৌসুম শেষ হলে হাতির এসেছে। জমির ধান খেয়ে হাতি গুলো চলে যায়। কিন্তু এবারে মাঠে ধান না থাকায় সীমান্তবর্তী মানুষগুলি আরও বেশি চিন্তায় রয়েছে।
খাবারের সন্ধানে একেবারে সমতল ভুমির লোকালয়ের দিকে এগিয়ে আসছে হাতির দল।
এদিকের জামালপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেনারেটর দেওয়া হলেও তেলের অভাবে সেগুলো বন্ধ হয়ে আছে।
এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, হাতির কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিত যেন অবনতি না হয়, সে কারণে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
জামালপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) এনামুল হক জানান, হাতির উপদ্রুপ নিরসনে কমিশনার পর্যায়ের বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছিল। আশাকরি দুই দেশের যৌথ উদ্যোগে এ সমস্যা সমাধান হবে।
প্রসঙ্গত, বন্যহাতির উপদ্রবে শুধু জামালপুরের বকশীগঞ্জেই বছরে গড়ে আড়াইশো থেকে তিনশো হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়। আর গেল পাঁচ বছরে দুই উপজেলায় হাতির আক্রমণে মারা গেছেন ১৩ জন। আহত ও পঙ্গত্ব বরণ করেছে ২ শাতাধিক।


খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।