জামালপুর সংবাদদাতা: জামালপুরে ডাকাতি মামলায় মানবাধিকার কর্মকর্তা কাওসার আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত কাওসার ডিবি পুলিশের পোষাক পরে কখনো মানবাধিকার সংগঠনের কর্মকর্তা, কখনো সাংবাদিক, কখনো ডিবির পরিচয় দিয়ে মানুষকে প্রতারিত করে আসছিল। সে মূলত: একজন স্টুডিও ব্যবসায়ী। শনিবার দিবাগত রাতে জামালপুর শহরের কথাকলি মার্কেটের স্টুডিও’র দোকান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরের দিকে কাওসারের সাথে আরো ২জন পুরুষ ও ৩জন নারী বাসা ভাড়া নেয়ার কথা বলে জামালপুর অগ্রণী ব্যাংকের অবসর প্রাপ্ত প্রিন্সিপাল অফিসার আব্দুল আজিজের বাসায় প্রবেশ করে। কথা বলার একপর্যায়ে আজিজের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু করে।
এতেই শেষনয়, তারা জনৈক নারীকে ধর্ষণ করেছে মর্মে বø্যাক মেইলিংয়ের আশ্রয়ে আজিজের স্বীকারোক্তি ভিডিও ধারণ করে। এ সময় তারা নিজেদের মানবাধিকার কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে আর্থিক সুবিধা দাবি করে। এরপর ঘরের আলমারি ভেঙ্গে ৭৬হাজার নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার এবং ৩টি চেকও নেয়ার পর আজিজের কাছে আরো টাকার দাবি করে।
আজিজের বাসায় কোন লোকজন না থাকায় আতংকিত হয়ে টাকা সংগ্রহ করে বিকাশে টাকা পাঠানোর প্রতিশ্রæতি দেয়। কাওসার ও তার সহযোগিরা আজিজকে একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে চলে আসে। বিষয়টি জানাজানি হবার পর আজিজের স্বজনরা বাসায় ভিড় জমায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী সরকার জানান-শনিবার সকালে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে কাওসারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৩টি চেক উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তার অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, ইদানিং সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীর পরিচয়ে মানুষকে বø্যাক মেইলিং করতে একটি চক্র সংঘবদ্ধ হয়েছে। নাপিত-কসাই, অর্ধমুর্খ্য সাংবাদিক-মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ধারী এই চক্রের সাথে কিছু পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতাদের সখ্যতা দেখে সাধারণ মানুষের মনেও নানা প্রশ্ন দোলা দিচ্ছে। সচেতন মহলের দাবি এই সব কাজের ইন্ধনদাতাদের আইনের আওতায় আনতে জামালপুরবাসি দাবি জানিয়েছেন। #
ক্যাপশন: জামালপুরে গ্রেপ্তারকৃত মানবাধিকার কর্মকর্তার পরিচয়ে প্রতারক কাওসার আহম্মেদ।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।