শফিকুল ইসলাম: গত তিন দিনে ঘনকুয়াশায় ও ঠান্ডার কারনে কর্মজীবি মানুষ দূর্ভোগে পড়েছে। সূর্য্যের আলো দেখা যাচ্ছে না। এতে বৃদ্ধ ও শিশুরা নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে জানুয়ারীতে সারা দেশে একাধীক শৈত্য প্রবাহ ও মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্য প্রবাহ আসবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলাগুলোর উপর দিয়ে মৃদু ও মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত রৌমারীর নদ-নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘনকুয়াশা পড়তে পাড়ে।
এমতাবস্থায় রৌমারী উপজেলার খেটে খাওয়া মানুষরা পড়েছে চরম দূর্ভোগে। তাদের কাজকর্ম নেই, ঘরে খাবার সংকট, শীতের কাপড়ের জন্য কষ্টে দিনাতিপাত করছে শতশত পরিবার।
নতুন বন্দর স্থলবন্দরের পাথর ভাঙ্গা শ্রমিক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, গত পরশু দিন থেকে ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় ঘর থেকে বের হতে পারছিনা। কাজও বন্ধ রয়েছে। ঘরে খাবার সংকট। ছেলে মেয়ের ঔষুধ কিনতে পারছি না।
দিন মজুর জয়নাল আবেদীন জানান, তিন দিন থেকে ঠান্ডার জন্য কাজ করতে পারি না। ঘরে খাবার না থাকায় অন্যের কাছে ধার নিয়ে সংসার চালাইতেছি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান জানান, ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায় ২৭৬০ কম্বল শীতার্থ মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপে আরো ৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পেয়েছি এবং কম্বল কিনে আজ থেকে পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।