ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধি: সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে ফালি করাতিদের ব্যবসা, এক সময় গ্রামগঞ্জের সৌখিন মানুষ গুলো সখের বশে বা প্রয়োজনের তাগিতে তৈরী করতেন কাঠের নানা ডিজাইনের আসবাব পত্র।
তাদের কাঠ কাটা বা ফাড়ার একমাত্র ভরসা ছিল চেড়াই বা ফালি করাতিগণ। বাঁশের মাচায় গাছের গুড়ি তুলে সুতা দিয়ে দাগ টেনে তারপর উপরে একজন আর নিচে দুইজন করাত টানাটানি চলতো সারাদিন। সারাদিনে একটি খাট বা টেবিলের কাঠ কাটতেন এই করাতিগন।
কালের পরিবর্তনে আবিষ্কৃত হয়েছে স'মিল, মুহুর্তেই বড় বড় গাছ ছোট আকারে প্রয়োজনীয় কাঠে পরিনত করা হয়। ফলে দিন দিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে ফালি করাতিদের কাজ।
সময়ের স্রোতে একেক জন একেক পেশায় ধাবিত হয়েছে।
কেউ দোকানদার, কেউ চটপটি বিক্রেতা, কেউ দিন মজুর, কেউ রিকশা চালানো পেশায় রূপান্তরিত হয়েছেন, আবার কেউ কাজ করছেন স'মিলের শ্রমিকের কাজ।
অল্প সংখ্যক লোক তাদের পুরোনো ঐতিহ্যগত কারণে অতি কষ্টে এ পেশা ধরে রেখেছেন। এমন একদল করাতিদের সাথে কথা হয় সানন্দবাড়ী লম্বাপাড়া শাহিন আলীর স'মিলে।
সর্দার জুলহাস উদ্দিন (৭২) জানান - তার বাড়ী গাইবান্ধা জেলায়। গত ৪০ বছর যাবত এ কাজ করলেও ইদানিং কাজ কমে যাওয়ার কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে কাজ করে থাকেন। যে সব গাছ স'মিলে তোলা সম্ভব হয়না সেগুলো এই ফালি করাতিদের দ্বারা ফালি করা হয়। আধুনিকতার ছোঁয়ায় আমরা প্রযুক্তির ব্যবহারকে প্রাধান্য দিলেও পুরোনো ঐতিহ্যকে ভুলতে বসেছি কিন্তু একে ধরে রাখা জরুরী বা ভুলে যাওয়া যায় না বলে সচেতন মহল মনে করেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।