রফিকুল আলম, ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জোড়দিঘি সেতুর মুখে ধলির খালে আড়াআড়ি করে অবৈধ দু’টি বাঁধ নির্মানের অভিযোগ উঠেছে।
রোববার বাঁধ নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। খালের মুখে বাঁধ দেওয়ায় বর্ষা মৌসুমে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। এতে ক্ষতির মুখে পড়বে স্থানীয় কৃষকেরা। এ কারণে বর্ষার আগেই ওই বাঁধ অবসারণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নে সরকারি ভাবে বাঙ্গালী নদী খননের উদ্যেগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য এসএম নওশের লিমিটেড নামে এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নদী খনন করে সেই বালু ফেলার জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নদীর পাশেই বেড়েরবাড়ি গ্রামের জোড়দিঘি সেতুর মুখে ধলির খালে আড়াআড়ি ভাবে পাশাপাশি দু’টি বাঁধ নির্মান করেছে।
এখন নদীতে পানি প্রবাহ নেই। এ কারণে বাঁধের বিরুপ কোন প্রভাব নেই। তবে বর্ষা মৌসুমে পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। তখন এলাকার কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়বে।
স্থানীয় বাসিন্দা খলিলুর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন, লুৎফর রহমান, সিরাজুল হক সহ আরো অনেকে বলেন, বাঙ্গালী নদীর সাথে এই খালের সংযোগ রয়েছে।
বর্ষা মৌসুমে এই খাল দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। এলাকার শত শত কৃষকের জমি থেকে পানি নিস্কাশন হয়ে এই খালে পড়ে। সেই খালে বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করায় কৃষকের ক্ষতি হবে।
এ কারণে অবৈধ বাঁধ অপসারণের জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি করছি।
বাঙ্গালী নদী খনন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান বলেন, স্থানীয় বেড়েরবাড়ি গ্রামের বজলুর রহমান, মেরাজুল ইসলাম ও বাটুল মিয়া সহ ১৯ জন কৃষকের নিকট থেকে খালের জমি বার্ষিক বন্দোবস্ত নিয়ে বাঁধ নির্মান করেছি। নদী খননের পর সেই বালু এই বাঁধের ভেতর খালে সংরক্ষন করা হবে। তবে বর্ষা মৌসুমে খালের পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।
জমির মালিকদের পক্ষে বেড়েরবাড়ি গ্রামের বজলুর রহমান জানান, ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির ভেতর দিয়ে খালের পানি প্রবাহিত হয়।
ওই জমি আমরা ঠিকাদারের নিকট বার্ষিক ২৫ হাজার টাকা বিঘা বন্দোবস্ত দিয়েছি। খালে বাঁধ দেওয়ায় কারো কোন ক্ষতি হবে না। তারপরও স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি শক্রুতামুলক ভাবে অভিযোগ করছে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, খালে বাঁধ নির্মানের বিষয়টি স্থানীয় লোকজন মোবাইল ফোনে আমাকে জানিয়েছেন। কিন্ত দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত থাকায় খোঁজখবর নিতে পারিনি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।