আজ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী

S M Ashraful Azom
0
আজ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী আজ

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী’র ভাষন

এ দিবসের নানান কর্মসূচি

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ভার্চুয়ালি পালন করবে ৫০ দেশ

সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীতে প্রদান করা হয়েছে অনারারি কমিশন

  সেবা ডেস্ক: আজ ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পৃথিবীর মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দিয়েছিল একটি ভূখণ্ড, যার নাম বাংলাদেশ। সবুজের বুকে রক্তিম সূর্যখচিত মানচিত্রের এ দেশটির স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী আজ, তাই আজ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ির’ দেশ আখ্যা দেয়া হয়েছিল। স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে দারিদ্র্য আর দুর্যোগের বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের পথে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ আর্থসামাজিক প্রতিটি সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ। এ প্রাপ্তি নিয়েই এবার জাতি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে।

এছাড়া আজকের বিশেষ এই দিনটি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর বছরও। তাই এবার দিবসটি উদযাপনেও যোগ হয়েছে ভিন্ন মাত্রা। এর সাথে আর একটি নতুন পালক যোগ হয়েছে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জাতিসংঘের চুড়ান্ত সুপারিশ।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি একটি প্রবন্ধে লিখেছেন, বিজয় অর্জনের পর ৫০ বছরের পথচলায় দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। একাত্তরে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা একটি স্বতন্ত্র দেশ পেয়েছি, আর তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়ে তুলতে চলেছি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।


স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী’র ভাষন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের মধ্য দিয়ে দেশের মর্যাদাকে আরো উচ্চমাত্রায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আজ আমাদের নতুন করে শপথ নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে এক টেলিভিশন ভাষণে একথা বলেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। তবে এই উদযাপন যেন শুধু আনুষ্ঠানিকতা-সর্বস্ব না হয়। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে আমাদের দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার শপথ নতুন করে নিতে হবে।

তিনি বলেন, সুবর্ণজয়ন্তীর এই শুভক্ষণে আমাদের শপথ নিতে হবে কেউ যেন বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে। দেশের গণতান্ত্রিক এবং উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে না পারে। আসুন, সব ভেদাভেদ ভুলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলি।

সরকার প্রধান বলেন, আমাদের বিগত ১২ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। গত মাসে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। গড় আয়ু, লিঙ্গ সমতা, সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা, নারী শিক্ষা, নারীর রাজনৈতিক অধিকার, নারী ও শিশু মৃত্যুহার, স্যানিটেশন, খাদ্য প্রাপ্যতা- ইত্যাদি নানা সূচকে বাংলাদেশ শুধু তার প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে এগিয়ে যায়নি, অনেক ক্ষেত্রে অনেক উন্নত দেশকেও ছাড়িয়ে গেছে। 

তিনি বলেন, আজকের এই উত্তরণের পথ মোটেই মসৃণ ছিল না। দেশের ভিতরে-বাইরে স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে নানা অপতৎপরতা চালিয়েছে। সে প্রক্রিয়া এখনও অব্যাহত আছে। কাজেই আমাদের সবাইকে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায়  অবতীর্ণ হয়ে দেশবিরোধী সব অপতৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ডাকে ছাত্রছাত্রী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে, শ্রমিক কারখানা ছেড়ে, কৃষক লাঙল ফেলে, কামার, কুমার, জেলে তাদের কাজ ফেলে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সশস্ত্র বাহিনী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাঙালি সদস্যরা পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে প্রতিরোধ সংগ্রামে সামিল হয়েছিলেন। জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে সবাই আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। 

তিনি বলেন, একবার ভাবুন, আমরা আজ যে স্বাধীন দেশের মাটিতে মুক্ত নিশ্বাস ফেলছি তা অর্জনে কত শত তরুণ অকাতরে প্রাণ দিয়েছেন? কত মা তাদের সন্তান হারিয়েছেন, কত বাবা তাদের পুত্র হারিয়েছেন, কত ভাইবোন তাদের ভাই হারিয়েছেন, কত স্ত্রী তাদের স্বামী হারিয়েছেন, সন্তানেরা বাবা হারিয়েছেন? কতশত মুক্তিযোদ্ধা পঙ্গু হয়ে দুঃসহ জীবনযাপন করছেন?

তাদের একটাই প্রত্যাশা ছিল এ দেশ স্বাধীন হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ দেশের মানুষ সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। সবাই মৌলিক অধিকার ভোগ করবে। আজকে আমরা তাদের সেই প্রত্যাশা কিছুটা হলেও পূরণ করতে পেরেছি।

শেখ হাসিনা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে কণ্ঠ মেলান, ‘আনন্দধ্বনি জাগাও গগনে।/কে আছ জাগিয়া পূরবে চাহিয়া,/বলে ‘উঠ উঠ’ সঘনে গভীর নিদ্রামগনে।/হেরো তিমির রজনী যায় ওই,/হাসে ঊষা নব জোতির্ময়ী-/নব আনন্দে, নব জীবনে,/ফুল্ল কুসুমে, মধুর পবনে, বিহগ কলকূজনে।/’

সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে এ ভাষণ সম্প্রচার করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই শুভদিন উপলক্ষে স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে আমি দেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরে বসবাসকারী বাংলাদেশের সব নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমি কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করছি সেইসব বন্ধু রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিকে যারা আমাদের চরম দুঃসময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫-এ মার্চের রাতে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ‘অপারেশন সার্চ লাইটের’ নামে নিরস্ত্র বাঙালির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানায় তৎকালীন ইপিআর হেডকোয়ার্টার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার ঘনবসতি এলাকাগুলোতে একযোগে হামলা চালায়। হাজার হাজার মানুষকে গুলি করে হত্যা করে। আগুন ধরিয়ে দেয় অসংখ্য ঘরবাড়িতে। দেশের অন্যান্য শহরগুলোতে হাজার হাজার বাঙালিকে হত্যা করা হয়। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশের এবং তৎকালীন ইপিআর-এর বীর বাঙালি সদস্যরা পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে। আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় এবং পাড়া-মহল্লার অলি-গলিতে ব্যারিকেড তৈরি করে পাকিস্তানি সৈন্যদের চলাচলে বাধা দেয়। কিন্তু অত্যাধুনিক অস্ত্র, ট্যাংক আর অস্ত্রসজ্জিত যানবাহনের সামনে নিরস্ত্র প্রতিরোধ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। নিরস্ত্র বাঙালির উপর হামলা চালিয়ে নির্বিচারে গণহত্যা শুরু করে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি সৈন্যদের হাতে বন্দি হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে ২৬-মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। সমগ্র জাতিকে নির্দেশ দেন প্রতিরোধ যুদ্ধের। মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করার। তার ঘোষণা তৎকালীন ইপিআর-এর ওয়ারলেসের মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পাকিস্তানি জান্তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে গিয়ে কারাগারে নিক্ষেপ করে। 

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, আমি ২৫-এ মার্চের সেই কালোরাতের শহিদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি। স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধের জাতীয় চার-নেতা, ৩০-লাখ শহিদ এবং ২-লাখ নির্যাতিত মা-বোনকে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমার সালাম। 

‘আমি গভীর বেদনার সঙ্গে স্মরণ করছি ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে নিহত আমার মা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন ভাই মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, মুক্তিযোদ্ধা লে. শেখ জামাল ও দশ বছরের শেখ রাসেল, দুই ভ্রাতৃবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, চাচা শেখ আবু নাসেরসহ সেই রাতের সব শহিদকে,’ যোগ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেখ মুজিব একটি দেশ, একটি জাতি-রাষ্ট্রের স্রষ্টা। কাজেই তার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা একযোগে উদযাপন করছি। 

তিনি বলেন, জনগণকে ধন্যবাদ জানাই এজন্য যে, জাতীয় জীবনের এই দুই গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক উদযাপনকালে স্বাধীনতাযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে তারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসিয়েছেন।

সরকার প্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শুধু একটি স্বাধীন-সার্বভৌম ভূখণ্ডেরই স্বপ্ন দেখেননি, তিনি স্বপ্ন দেখতেন এ জনপদের সাধারণ মানুষ, যারা শত শত বছর ধরে শোষণ-বঞ্ছণা, নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, না-খেয়ে না-দেয়ে, রোগে-শোকে মারা গেছে, তাদের দুঃখ-দুর্দশা দূর করতে। তাদের অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-চিকিৎসার ব্যবস্থা করে উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে। 

তিনি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় স্বাধীনতা বিরোধী কুচক্রী মহল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে সপরিবারে হত্যা করে। তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রাকে যেমন স্তব্ধ করে দেয়া হয়েছিল, তেমনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধূলিসাৎ করে দেয়া হয়।

১৯৭২ সালে ২৮-এ জুন সিলেটে এক সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর দেয়া ভাষণের উদ্ধৃতি দেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ মুজিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রী হবার জন্য আমি রাজনীতি করি নাই। আমি রাজনীতি করেছিলাম সাড়ে সাত কোটি মানুষের মুক্তির জন্য। এখন আমার রাজনীতির মুক্তি হয়েছে। আমার অর্থনীতির মুক্তি প্রয়োজন। এইটা না হলে স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে। যদি বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না খায়, যদি বাংলার মানুষ সুখে বাস না করে, বাংলার মানুষ যদি অত্যাচার, অবিচারের হাত থেকে বাঁচতে না পারে তো এই স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শুধু স্বপ্ন দেখতেন না, কী করে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে হয় তা তিনি জানতেন। স্বাধীনতার পর একেবারে শূন্য হাতে মাত্র সাড়ে তিন বছরে ধ্বংস-প্রাপ্ত রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, রেললাইন, পোর্ট সচল করে অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করেন। ১২৬টি দেশের স্বীকৃতি ও ২৭টি আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে তিনি স্বল্পোন্নত দেশের কাতারভুক্ত করেন। ১৯৭৫-পরবর্তী অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী অগণতান্ত্রিক শাসকেরা বাংলাদেশকে আদর্শচ্যুত করেছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

স্বাধীনতার অর্ধশত বছর অতিক্রম করাকে ‘একটি তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক’ আখ্যা দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, আমাদের জন্য এই সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব আরো বর্ণময় হয়েছে এ জন্য যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে সরকার পরিচালনা শুরু করে। আজ বাংলাদেশ সম্পর্কে সব নেতিবাচক এবং নিরাশাবাচক ভবিষ্যদ্বাণী অসার প্রমাণিত করে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে গর্বিত দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। 

এক দশক আগেও বাংলাদেশকে যেখানে দারিদ্র্য আর অনুন্নয়নের উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করা হতো, আজ উন্নয়ন বিশেষজ্ঞগণ সেই বাংলাদেশকেই দারিদ্র্য-জয় এবং উন্নয়নের আদর্শ মডেল হিসেবে তুলে ধরেছেন উল্লেখ করে তিনি ২০০৫-০৬ অর্থবছর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে কয়েকটি সূচকের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন।

তিনি বলেন ২০০৫-০৬ বছরে মাথাপিছু আয় ছিল ৫৪৩ মার্কিন ডলার। বর্তমানে যা ২০৬৪ ডলার হয়েছে। ওই সময়ে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ। বর্তমানে দারিদ্র্যের হার কমে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ। জিডিপি’র আকার ৪ লাখ ৮২ হাজার ৩৩৭ কোটি থেকে ২৮ লাখ কোটি টাকা হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল মাত্র ০.৭৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ এক বিলিয়ন ডলারের কম যা বর্তমানে ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৫-০৬ বছরে অর্থাৎ তার টানা তিন মেয়াদের ক্ষমতায় আসার আগের বছরটিতে বাজেটের আকার ছিল ৬১ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে বাজেটের আকার ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। মানুষের গড় আয়ু ২০০৫-০৬ বছরের ৫৯ বছর থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৯-২০ সালে দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৬ বছর। শিশু মৃত্যুহার হার কমে প্রতি হাজারে ৮৪ থেকে ২৮ এবং মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লাখে ৩৭০ থেকে ১৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন ওই সময় সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৭৩ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ ৯৫ হাজার ৫৭৪ কোটি। দানাদার শস্যের উৎপাদন ২০০৫-০৬ বছরের ১ কোট ৮০ লাখ মেট্রিক টন থকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৪,৯০০ মেগাওয়াট থেকে ২৪ হাজার ৪২১ মেগাওয়াটে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী জনসংখ্যা ৪৭ থেকে ৯৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। 

আজকের এই অর্জন এ দেশের সাধারণ মানুষের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশের কৃষক-শ্রমিক-পেশাজীবী, আমাদের প্রবাসী ভাইবোনেরা, এ দেশের উদ্যোক্তারা তাদের শ্রম, মেধা এবং উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে দারিদ্র্য নিরাময়ের অসম্ভব কাজকে সম্ভব করে তুলেছেন। আমার সরকার শুধু নীতি সহায়তা দিয়ে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করেছে। 

শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা প্রমাণ করেছেন, বাংলাদেশের মানুষ অনুকূল পরিবেশ পেলে যেকোনো অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে পারে।



এ দিবসের নানান কর্মসূচি:
আজকের এই দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

আজ ঢাকাসহ সারাদেশে প্রত্যুষে ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে।

এ দিবসে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা এবং ঢাকা শহরে সহজে দৃশ্যমান ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে।

ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হবে। ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিভিন্ন বাহিনীর বাদকদল স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাদ্য বাজাবেন।

দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী প্রদান করেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। এ উপলক্ষ্যে ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ফেডারেশন মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করবে। অনলাইন, ই-মেইল, ডাকযোগে, ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা এবং শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

সিনেমা হলসমূহে মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।

এছাড়া মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদ পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে সংবর্ধনা প্রদান করা হবে। একইভাবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করবে।

দেশের সকল হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবার, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশুদিবা যতœ কেন্দ্রসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে।

মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের সকল শিশুপার্ক ও জাদুঘরসমূহ বিনা টিকিটে উন্মুক্ত রাখা হবে। একইভাবে চট্টগ্রাম, খুলনা, মংলা ও পায়রা বন্দর এবং ঢাকার সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জের পাগলা, বরিশাল ও চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজসমূহ দুপুর ২টা হতে ঐদিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।

জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করবে।



স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ভার্চুয়ালি পালন করবে ৫০ দেশ:
জার্মান আওয়ামী লীগের উদ্যোগে পঁচিশে মার্চ দিবাগত রাত থেকে ছাব্বিশে মার্চ প্রথম প্রহর পর্যন্ত বিশ্বের ৫০টি দেশে বসবাসরত বাঙালিদের নিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জার্মান আওয়ামী লীগের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ সময় ২৫শে মার্চ রাত ৯টা এবং ইউরোপের সময় বিকাল ৪টা থেকে ভার্চুয়াল ওই উৎসব শুরু হবে।

এতে প্রধান অতিথি থাকবেন পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম দস্তগীর গাজী।

অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে থাকবেন- বার্লিনে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, কানাডার অটোয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের হাই কমিশনার খলিলুর রহমান এবং বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশ মিশনের প্রধান মাহবুব হাসান সালেহ।

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ ও জার্মান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা

অনিল দাশ গুপ্ত, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির,  সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন।

এছাড়াও দেশ-বিদেশে বসবাসরত শিল্পীরা এ অনুষ্ঠানে সংযুক্ত থাকবেন।

অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করবেন জার্মান আওয়ামী লীগের সভাপতি বসিরুল আলম চৌধুরী এবং এটি সঞ্চালনা করবেন জার্মান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্বাস আলী চৌধুরী।

অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় থাকছেন জার্মান আওয়ামী লীগের দুই সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান ও প্রকৌশলী কাজী আসিফ হোসেন দীপ।

এই অনুষ্ঠানের প্রচারে দায়িত্বে রয়েছেন জার্মান আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক  মোল্লা হাবিবুর রহমান এবং উপ সম্পাদক নজরুল ইসলাম।


সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীতে প্রদান করা হয়েছে অনারারি কমিশন:
২৬শে মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২২ জন অনারারি লেফটেন্যান্টকে অনারারি ক্যাপ্টেন পদে এবং ৩৭ জন মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার পদমর্যাদার জুনিয়র কমিশন্ড অফিসারকে অনারারি লেফটেন্যান্ট পদে অনারারি কমিশন প্রদান করা হয়েছে। 
অপরদিকে, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ১৩ জন মাস্টার চীফ পেটি অফিসার (এমসিপিও) পদমর্যাদার জুনিয়র কমিশন্ড অফিসারকে অনারারি সাব-লেফটেন্যান্ট পদে অনারারি কমিশন প্রদান করা হয়েছে। 

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২২ জন অনারারি লেফটেন্যান্ট থেকে অনারারি ক্যাপ্টেন পদে পদোন্নতিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন- অনারারি লেফটেন্যান্ট (ডিএমটি) মো. আকতার হোসেন, আর্টিলারি; অনারারি লেফটেন্যান্ট (সার্ভেয়ার) মো. আইয়ুব আলী, ইঞ্জিনিয়ার্স; অনারারি লেফটেন্যান্ট (ওসিইউ) মো. মাসুদুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার্স; অনারারি লেফটেন্যান্ট (ডিএসভি) থোয়াই অংগ্য চাক্, ইঞ্জিনিয়ার্স; অনারারি লেফটেন্যান্ট (ওয়াইঅবএস) মো. হান্নান মিয়া, সিগন্যালস; অনারারি লেফটেন্যান্ট (জিডি) মুন্সী নূরুল ইসলাম, ই বেঙ্গল; অনারারি লেফটেন্যান্ট (জিডি) মোহাম্মদ আলী হাং, ই বেঙ্গল; অনারারি লেফটেন্যান্ট (জিডি) মো. আব্দুল আউয়াল, ই বেঙ্গল; অনারারি লেফটেন্যান্ট (জিডি) মো. চাঁন মিয়া, ই বেঙ্গল; অনারারি লেফটেন্যান্ট (ব্যান্ডসম্যান) জিল্লাল শিকদার, ই বেঙ্গল; অনারারি লেফটেন্যান্ট (জিডি) মো. মফিজুল ইসলাম মজুমদার, বীর; অনারারি লেফটেন্যান্ট (জিডি) মো. মনির হোসেন শেখ, বীর; অনারারি লেফটেন্যান্ট (করণিক) আবুল কালাম আজাদ, বীর; অনারারি লেফটেন্যান্ট (জিডি) মো. বকুল হোসেন, বীর; অনারারি লেফটেন্যান্ট (এমটি) মোহাম্মদ কবীর হোসেন, এএসসি; অনারারি লেফটেন্যান্ট (করণিক) মো. আব্দুল মজিদ, অর্ডন্যান্স; অনারারি লেফটেন্যান্ট (এসএমটি) মো. মোসলেম জাহাংগীর মাসুদ, অর্ডন্যান্স; অনারারি লেফটেন্যান্ট (এএ ভেহিক্যাল) মল্লিক আব্দুর রহমান, ইএমই; অনারারি লেফটেন্যান্ট (করণিক) মো. আতিয়ার রহমান, ইএমই; অনারারি লেফটেন্যান্ট (জিডি) মো. জমায়েত আলী খান, সিএমপি; অনারারি লেফটেন্যান্ট আ: হান্নান সেখ, এইসি; অনারারি লেফটেন্যান্ট (এমএ) মো. ইকবাল হোসেন মিঞা, এএমসি।

সেনাবাহিনীর ৩৭ জন মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার পদমর্যাদার জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার থেকে অনারারি লেফটেন্যান্ট পদে কমিশনপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- 
মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (ড্রাইভার) মো. আনিছুর রহমান,আর্মার্ড;  মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (গানার), মো. মনিরুজ্জামান, আর্টিলারি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (টিএ), মো. জাহিদুল ইসলাম মোল্লা, আর্টিলারি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (টিএ), মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন, আর্টিলারি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (করণিক) মো. জামাল উদ্দিন ইঞ্জিনিয়ার্স; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (ওইপি) মো. রেজাউন্নবী চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার্স; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (করণিক) মুহাম্মদ আমিনুল হক, ইঞ্জিনিয়ার্স; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (সার্ভেয়ার) মো. মহসীন আলম, এসইউপি, ইঞ্জিনিয়ার্স; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (সার্ভেয়ার) মোঃ মাহবুবুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার্স; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (ডিএসভি) মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ভূইয়া, ইঞ্জিনিয়ার্স; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (এফঅবএস) মো. আব্দুল জলিল হাওলাদার, সিগন্যালস; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (এফঅবএস) মো. গোলাম কিবরিয়া, সিগন্যালস; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মো. আবদুল কাদের মিঞা, ই বেঙ্গল; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মো. জামাল উদ্দিন, ই বেঙ্গল; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) জগদানন্দ বড়ুয়া, ই বেঙ্গল; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (করণিক) মো. নুরুন্নবী, ই বেঙ্গল; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মো. কামিরুল ইসলাম,বীর; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মো. শফিউল আলম, বীর; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মো. নজরুল ইসলাম, বীর; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মো. রেজাউল করিম, বীর; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (জিডি) মো. আব্দুল মালেক, বীর; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (এমটি) মো. ইয়াছিন আলী, এএসসি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (এটি) মো. আমজাদ হোসেন, অর্ডন্যান্স; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (এ্যান্সিলারি) মো. সাইদ হোসেন, ইএমই; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (টিএসএ) মো. বাবলু মিঞা, ইএমই; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (এএ ভেহিক্যাল) মো. শফিকুল ইসলাম ফকির, ইএমই; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (টিএসএ) মো. হাচিবুর রহমান, ইএমই; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (এএ ভেহিক্যাল) মো. আবুল কাশেম, ইএমই; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (এএ ভেহিক্যাল) মো. আব্দুস সালাম, ইএমই; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (করণিক) আতিয়ার রহমান, ইএমই; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (করণিক) মো. মিজানুর রহমান, ইএমই; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (এএ ভেহিক্যাল) নিজাম উল আহসান হাবিব মিয়া, ইএমই; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (স্টেনো) মো. এনামুল হক, এসিসি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আ. বাতেন খান, এইসি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (ডিটি) মো. নুর নবী মন্ডল, এডিসি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (এমএ) মো. আখতারুজ্জামান, এএমসি; মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার (করণিক) মো. আব্দুল মান্নান মোল্লা, এএমসি। 

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ১৩ জন মাস্টার চীফ পেটি অফিসার (এমসিপিও) পদমর্যাদার জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার থেকে অনারারি সাব-লেফটেন্যান্ট পদে কমিশনপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- শেখ মোহাম্মদ কুদ্দুসুর রহমান, এমসিপিও (ও/ই); মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, এমসিপিও (রেগ); মোহাম্মদ আবুবকর সিদ্দিক প্রামানিক, এমসিপিও(ই); দেওয়ান শেখ শহীদুল হক, এমসিপিও(এক্স)(জিএ-১); মোহা: তাশেরুল হক, এমসিপিও (এল); মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ মৃধা, এমসিপিও (কম); মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, এমসিপিও (ই); মোহাম্মদ এনামউল হক, এমসিপিও (এক্স)(এফসি-১)(এনইউপি); মোহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম, এমসিপিও (আর)(এনপিপি); মোহাম্মদ তাহের মিয়া, এমসিপিও (এক্স)(কিউএ-১); বিএম মনিরুল ইসলাম, এমসিপিও (এস); মোহাম্মদ আব্দুর রেজ্জাক খান, এমসিপিও (এক্স)(কিউআরপি-১); মোহাম্মদ ফজল হক, এমসিপিও (এক্স)(সিডি-১), এনজিপি।

সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর এ অনারারি কমিশন ২৬ মার্চ, ২০২১ থেকে কার্যকর হবে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় হতে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।




শেয়ার করুন

-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

Post a Comment

0Comments

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top