আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধা : গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী ফাঁসিতলা হাটে ইজারাদার কর্তৃক অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের প্রতিবাদে কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩০ এপ্রিল শুক্রবার বিকালে গোবিন্দগঞ্জ সাংবাদিক এসোসিয়েশন কার্যালয়ে ফাঁসিতলা কাঁচামাল ব্যবসায়ী সমিতি’র সহ সভাপতি রুবেল মোল্লা লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি এ সময় তার বক্তব্যে বলেন, ফাঁসিতলা হাট-বাজার ইজারাদার আযম সরকার বিগত কয়েক বৎসর যাবৎ এ হাটের ইজারা নিচ্ছেন। হাটটি সপ্তাহে সোমবার ও শুক্রবার দু’দিন বসে। এ ছাড়া বাজার প্রতিদিন বসে। শুরু থেকেই হাট ইজারাদার ব্যবসায়ীদের উপর অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছে। তাদের দেয়া নির্ধারিত খাজনা দিতে না চাইলে ইজারাদারের লোকজন বিভিন্ন ভয়ভীতি ও জীবন নাশের হুমকি দেয়। নিরুপায় হয়ে তাদের নির্ধারিত খাজনা দিতে হয় ব্যবসায়ীদের। প্রতি বৎসরের ন্যায় এবারও ফাঁসিতলা হাট আযম সরকার ইজারা নিয়েছে। তাই নতুন ভাবে আরো খাজনা বৃদ্ধি করে ১লা বৈশাখ থেকে ব্যবসায়ীদের হাট বারে ৮০ টাকা খাজনা নির্ধারণ করে আর বাজারের দিন ২০ টাকা খাজনা আদায় করছে। বৈশাখের ১৫ দিন যেতে না যেতেই ৮০ থেকে আবারও খাজনা বাড়িয়ে ১২০ টাকা খাজনা নির্ধারণ করে বস্তি ব্যবসায়ীদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ইজারাদারের অতিরিক্ত খাজনা দিতে অস্বীকার করলে ইজারাদারের প্রতিনিধি ছানোয়ার ও বাদশা এসব ব্যবসায়ীদের উপর হুমকি অব্যাহত রেখেছে। তাই সকল কাঁচামাল বস্তি ব্যবসায়ীরা আজ ব্যবসা বন্ধ করে ধর্মঘট পালন করতে বাধ্য হয়েছে। এই সংবাদ সম্মেলনো মাধ্যমে জুলুমবাজ হাট ইজারাদারের হাত থেকে ব্যবসায়ীদের মুক্ত করে সরকারী চার্ট অনুযায়ী খাজনা নির্ধারণ করে দিতে উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে সকল ব্যবসায়ীরা। এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের মধ্যে সবুজ, শাহিন, ফারুক, সেকেন্দার, সালজার, তোজাম, শফিউল, জাইদুল, জিল্লুর, শাহিনুর, ছয়ফুল, আছালত, রাসেদ, জালাল, হারুন, রঞ্জু, ছয়ফুল, রাজ্জাক, খায়রুল, ছালাম, দুলু সহ সকল ব্যবসায়ীগণ।
উল্লেখ্য, সারাদেশের ন্যায় গাইবান্ধা জেলা জুড়ে করোনা কালে ব্যবসার অবস্থা মন্দা চললে হঠাৎ করে ছোট বড় হাট বাজার গুলোতে ইজারাদাররা ইচ্ছা মতো নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে খাজনা বাড়িয়ে আদায় কার্যক্রম অব্যহত রেখেছে বলে ব্যবসায়ি সূত্রে জানা যায়। এক্ষেত্রে জেলা জুড়ে ছোট বড় হাটবাজার গুলোতে টোল বোড বা খাজনা বোড বাধ্যতা মূলক করাসহ যথাযথ ভাবে তদারকির জন্য সংশ্লিষ্টদের নিকট প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন মহল।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।