রফিকুল আলম,ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনট উপজেলায় পাওনা টাকা চাওয়ায় সুলতানা জাহান (৩৭) নামে আওয়ামী লীগের এক নেত্রীকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ উঠেছে। সুলতানা জাহান উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বুধবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই খোকনের সরকারি বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আব্দুল হাই খোকন মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ও ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সুলতানা জাহানের নিকট থেকে এক মাস আগে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা কর্য নেন। বুধবার সেই পাওনা টাকা পরিশোধের কথা ছিল। সুলতানা জাহান পাওনা টাকার জন্য বুধবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যানের সরকারি বাসায় যান। এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকন বাসার দ্বিতীয় তলায় বিশ্রাম করছিলেন।
এ অবস্থায় আব্দুল হাই খোকনের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা ক্ষুদ্ধ হয়ে সুলতানা জাহানকে গালিগালাজ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে আঞ্জুয়ারার হুকুমে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রান বিষয়ক সম্পাদক কামরুল হাসান আওয়ামী লীগ নেত্রী সুলতানা জাহানকে টানা হেচড়া ও গালিগালাজ করতে থাকেন। এ সময় আওয়ামী লীগে নেত্রীর চিৎকারে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাইদুল ইসলাম রনি ঘটনাস্থলে পৌছে সুলতানা জাহানকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় সুলতানা জাহান বাদি হয়ে ধুনট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হাসান ও আঞ্জুয়ারাকে আসামী করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হাসান বলেন, সুলতানা জাহান উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসার নীচ তলায় প্রবেশ করে গালিগালাজ করতে থাকেন। এ সময় তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে। তাকে কোন প্রকার লাঞ্ছিত করা হয়নি। তারপরও থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী সুলতানা জাহানের অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশ কর্মকর্তা এসআই নুরুজ্জামানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।