শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার কুমারী ছড়া হতে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের খবর পেয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাইদুজ্জামান চৌধুরী।
বালি উত্তোলনের খবর পেয়ে শনিবার (১০ জুলাই) দুপুরে তাৎক্ষণিকভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলেও অভিযুক্তদের পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল হতে আনুমানিক ৪০০ ঘনফুট বালি জব্দ করা হয়।
উল্লেখ্য যে, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে উপজেলার সাধনপুরের কুমারী ছড়া হতে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে আসছে স্থানীয় একটি বালু দস্যু সিন্ডিকেট। ফলে ছড়াসংলগ্ন রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। অথচ সরকারের অনুমতি ছাড়া শ্রেণী পরিবর্তন করে নদনদী, ছড়া থেকে মাটি ও বালি উত্তোলনের কোন নিয়ম নাই।
সাধনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চোধুরী খোকা বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে বালি দস্যুরা বিক্রির উদ্দেশ্যে সাধনপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার কুমারী ছড়া হতে বালি উত্তোলনের ফলে ছড়া সংলগ্ন লোকজনের চলাচলের সড়কটিতে ধ্বস ধরেছে। এমনকি আমার পরিষদের নির্মিত একটি কালবার্ট দেবে গিয়ে ভেঙে যায়। ছড়ার ভাঙনের ফলে স্থানীয় লোকজনের চলাচলের পরিবেশ বিঘ্ন ঘটে।'
ইউএনও সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, 'বালি উত্তোলনের খবর পেয়ে তাৎক্ষিণ অভিযান পরিচালনা করি। ঘটনাস্থলে বালির মালিককে পাওয়া যায়নি। এসময় ৪শ ঘনফুট বালি জব্দ করা হয়। তবে, বালি উত্তোলনকারীদের নাম ঠিকানা পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।