ক্যাপশনঃ পৌরসভার ভাদালিয়া খালের উপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজ |
শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: বাঁশখালী উপজেলার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার উত্তর জলদী ভাদালিয়া খালের উপর নির্মিত ব্রীজটি ১৫ বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। সম্প্রতি অতিবৃষ্টির ফলে বন্যায় ব্রীজটি ভেঙ্গে গেলেও সংস্কার না করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার হাজার হাজার মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার পৌরসভাস্থ উত্তর ভাদালিয়া ও দক্ষিণ ভাদালিয়ার একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম ব্রীজটি। ভাদালিয়া, মিনজিরতলা ও খালাইস্যার দোকান সহ অন্যান্য এলাকার হাজারো লোকজনের যাতায়তের মাধ্যম ব্রীজটি ১৫ বছর ধরে সংস্কারবীহিন পড়ে থাকলেও পৌর কতৃপক্ষের নজরে পড়েনি। সম্প্রতি কিছু ভারী যানবাহন চলাচল ও অতিবৃষ্টির কারণে পানির স্রোত বেড়ে যাওয়ায় ব্রীজটির উভয় পার্শ্বের মাটি সরে যায়। যার দরুণ লোকজনের হাঁটাচলাফেরা দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে।
এ দিকে ব্রীজ ভেঙ্গে যাওয়ায় অটোরিকশা, সিএনজি, ভারী যানবাহনসহ কোন যানবাহনই চলাচল করতে পারছেনা। যানবাহনগুলো কয়েক কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প সড়ক দিয়ে গন্তব্যস্থলে যাচ্ছে। এলাকার নারী পুরুষ, শিশু, বয়স্কদের চলাফেরায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় এলাকার লোকজনদের যোগাযোগ উপজেলা সদর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন।
এলাকাবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'আমরা এ'গ্রেডের পৌরসভা পেয়েছি। কিন্তু উন্নয়নে পিছিয়ে আছি অনেকদূর। দীর্ঘ ১৫ বছরেও ব্রীজটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি কতৃপক্ষ। ব্রীজ ভেঙে যাওয়ায় বিগত কয়েক বছর ধরে বোরো ধান উঠানোর সময় চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে কৃষকদের। এলাকার ৫/৬ হাজার লোকজনের চলাচলের এ ব্রীজটি দ্রুত সংস্কারের দাবী জানান এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে বাঁশখালী পৌর মেয়র শেখ সেলিমুল হককে মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার ফোন করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
পৌরসভার প্যানেল মেয়র দেলোয়ার হোছেন বলেন, 'পৌরসভার মাসিক সমন্বয় সভায় ভাদালিয়া খালের উপর নির্মিত ব্রীজটি জরুরী ভিত্তিতে সংস্কারের জন্য আলোচনা হয়েছে। এডিবির বরাদ্দে ও গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে আওতায় এ বিষয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। খুব শিঘ্রই ব্রীজটি সংস্কারের আশ্বাস দেন পৌর মেয়র শেখ সেলিমুল হক।'
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।