রফিকুল আলম,ধুনট (বগুড়া): উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নে যমুনা নদীর কূল উপচে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পূর্বদিকের লোকালয়ে প্রবেশ করছে পানি।
স্থানীয়রা জানান, ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের পূর্ব পাশ দিয়ে বহমান যমুনা নদী। কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে।
সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ১৭ দশমিক ৩ সেন্টিমিটার উচ্চতায় বইছে। ফলে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি।
যমুনার কূল উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করছে পানি।
এতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অভ্যন্তরে (পূর্বদিকে) ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের পুকুরিয়া, ভুতবাড়ি, কৈয়াগাড়ি, মাধবডাঙ্গা, রঘুনাথপুর, ভান্ডারবাড়ি, দক্ষিন শহড়াবাড়ি, বানিয়াজান ও শিমুলবাড়ি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এসব গ্রামের বাড়ির আনাচে-কানাচে থৈ থৈ করছে পানি। আবার কিছু কিছু বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে এবং রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে।
ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল জানান, যমুনার কূল উপচে পানি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে এসে ঠেকেছে।
তার ইউনিয়নের ৯টি গ্রামের কমপক্ষে ৫০০ পরিবারের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে। তবে, এখনও মানুষের জীবনযাপন স্বাভাবিক রয়েছে।
বানভাসিদের জন্য ৯ মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে। প্রয়োজনে প্রশাসনের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে এ সব চাল বিতরণ করা হবে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও পরিমান খুবই কম।
সেই ক্ষেত্রে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের দিকে বন্যার আশংকা করা হচ্ছে। তবে বন্যা মোকাবেলায় সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে।
প্রতি মহুর্তে যমুনা নদীর বাঁধ পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।