শফিকুল ইসলাম: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় ভরা বর্ষা মৌসুমে বন্যা না হওয়ায় বিপাকে পড়েছে উপজেলার পাট চাষিরা। পানি অভাবে পাট জাগ দিতে পারছেনা চাষিরা। ফলে চরাঞ্চলের পাট রোদের তাপে শুকিয়ে রং কালো হয়ে যাচ্ছে। আর এতে ক্ষতির মুখে পড়বে তারা। এই সময়ে উত্তরাঞ্চলে ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে ও ভারি বর্ষণে নদ-নদী, খাল ও বিলে অথৈই পানি থাকতো। এক পাশে বন্যা নেই ও অপর পাশে বৃষ্টি না হওয়ায় পাট নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পাট চাষিরা। পাটের বাম্পার ফলন হওয়ায় পাট চাষিরা ছিল খুবই খুশি। কিন্তু পানির অভাবে জাগ দিতে না পারায় জমি থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দুরে নদী, খালে ঘোড়ার গাড়ি, কাকড়া, ভ্যান, মহিষের গাড়ি, টলি ও মাথায় করে পাট নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে পাট চাষিদের খরচ অনেক বেশি পড়বে। ফলে বাজারে সোনালী আশ পাটের দাম বেশি হলেও লোকসানে পড়বে তারা। অনেক কৃষকের সোনালী আঁশ পাট কাটার পর পানির অভাবে জাগ দিতে না পারায় ক্ষেতেই রোদের তাপে শুকিয়ে জমিতেই নষ্ট হচ্ছে।
উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বিরুপ আবহাওয়া মধ্যেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অধিক পাট চাষ হয়েছে। এ মৌসুমে গত বছরের তুলনায় পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে।
কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, এবার রৌমারী উপজেলা ২ হাজার ৭’শ ৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। বাম্পার ফলনের পাশাপাশি দামও অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। কোমরভাঙ্গী গ্রামের কৃষক তসলিম মাষ্টার, ধনারচর গ্রামের সুরুজ্জামান, বন্দবেড় গ্রামের সাইফুৃল ইসলামসহ আরো অনেকেই জানান, এবার পাট চাষ করেছি শেলো মিশিনে সেচ দিয়ে। আবার সেচ দিয়ে পাট জাগের জন্য পকুরে ও ডোবায় পানি দেওয়া হচ্ছে। এই অল্প পানিতেই পাট জাগ দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন বলেন, এই বছর প্রাকৃতিক খরার কারনে ভরা মৌসুমে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় পানির অভাবে কৃষকরা পাট জাগ দিতে পারছে না। তবে রেডিং পদ্ধতিতে কৃষক যাতে পাট পঁচাতে পারে সেই বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।