রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: মুজিবশত বর্ষে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের আশ্রয়কেন্দ্রের রুম অর্থের বিনিময় স্বচ্ছল ব্যক্তিদের নামে বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যাদের প্রত্যেকের নিজস্ব জমি,ঘর ও অর্থসম্পদ রয়েছে। জনপ্রতিনিধি, সরকার দলীয় নেতাকর্মী ও প্রশাসনিক লোকদের যোগসাজসে এসব ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ভূমিহীন ও আশ্রয়হীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের ঘর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১,২ ও ৩ এর অধীনে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে ২০১ টি ঘর নির্মাণ করা হয়। মেম্বার-চেয়ারম্যান, সরকার দলীয় ও প্রশাসনের লোকজন এই ভুমিহীনদের তালিকা চুরান্ত করেন।
মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময় ও আত্মীয় করনে স্বচ্ছল ব্যক্তিদের এই নামের তালিকা করা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকের জমি,ঘর ও অর্থ সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। স্বচ্ছল ব্যক্তিরা কেউ ওই আশ্রয়কেন্দ্রের ঘরে থাকেন না।
স্বচ্ছল ব্যক্তিরা দাঁতভাঙাগা গ্রামের আব্দুল এর ছেলে খলিল মিয়া। সে একজন ডেকোরেটর ব্যবসায়ী, হরিণধরা গ্রামের কাশেমের ছেলে মহি উদ্দিন ঘর পায়। সে একজন স্বচ্ছল ব্যক্তি।
বর্তমানে ওই রুমে তার মাকে রাখা হয়েছে এবং চরের গ্রামের জহের আলীর ছেলে ইউনুস আলীসহ আরো অনেকেই। তারা লোক দেখানোর জন্য মাঝে মধ্যে ওই রুমে গিয়ে দেখাশোনা করেন।
তবে রুম পাওয়া অধিকাংশ ব্যক্তি কেউ স্থায়ীভাবে বসবাস করেন না। ফলে ওই রুমগলো প্রায় সময়ে তালাবদ্ধ থাকে।
ঘরগুলো রয়েছে উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের হরিণধরা বর্গারচর, গাছবাড়ি, যাদুরচর ইউনিয়নের লাঠিয়ালডাঙ্গা, ধনারচর পশ্চিম, রৌমারী ইউনিয়নের ইজলামারী ও বন্দবেড় ইউনিয়নের টাপুরচর গ্রামে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।