বৃহত্তর ময়মনসিংহের প্রবীন রাজনৈতিক নেতা, সাবেক প্রাদেশিক আইন পরিষদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশিষ্ট আইনজীবী আশরাফ হোসেনের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী আজ।
তিনি গত ২০২০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বুধবার মৃত্যু বরণ করেন। ১৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় প্রয়াতের লাশ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় নিজ বাড়ি জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলার পাখিমারা সরকারবাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর মা-বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি স্ত্রী, চার ছেলে, এক মেয়ে, সাত ভাই-বোনসহ অনেক আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান।
১৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বাদ আসর ময়মনসিংহের স্বদেশ হাসপাতালে সামনে বাইতুলনুর মসজিদে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ হোসেন ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন শাস্ত্রে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করে দীর্ঘদিন ময়মনসিংহে আইন পেশায় যুক্ত ছিলেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে রয়েছে তার অনেক অবদান। ১৯৫৮ সালে গঠিত ইস্ট বেঙ্গল লিবারেশন ফ্রন্টের অন্যতম নেতা এবং বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ময়মনসিংহ-১ (বর্তমানে জামালপুর-১) থেকে নির্বাচিত প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য (এমপিএ) নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে গণপরিষদ সদস্যও ছিলেন তিনি। তিনি ছিলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুমোদনকারীদের অন্যতম।
জামালপুর জেলা ঘোষিত হলে তিনিই প্রথম জামালপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়াও ১৯৬৮ সাল থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের তৎকালীন জামালপুর মহকুমা শাখার সহ-সভাপতি এবং একই সময়কালে তিনি দেওয়ানগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
অ্যাডভোকেট আশরাফ হোসেন ১৯৩৭ সালের ২ ডিসেম্বর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলার পাখিমারা গ্রামের সরকারবাড়িতে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর পিতার নাম মরহুম মকবুল হোসেন সরকার।
লেখক: কাফি পারভেজ, সাংবাদিক
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।