ইসলামপুরে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি
🕧Published on:
লিয়াকত হোসাইন লায়ন, জামালপুর প্রতিনিধি: বাড়ছে পানি ডুবছে জনপথ। জামালপুরের ইসলামপুরে বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।
পানির তোড়ে ২ শতাধিক ঘর নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে। পানি ক্রনানুবর্তিত থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বুধবার বিকালে হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপরে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উজানের ঢলের পানি এবং টানা বর্ষণে সৃষ্টি বন্যায় উপজেলার প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে।
হুহু করে বন্যার পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পানির তোড়ে যমুনা নদী সংলগ্ন শিংভাঙ্গা, বলিয়াদহ, চিনাডুলী, চেঙ্গানিয়া, মন্নিয়াচর, সাপধরী ইউনিয়নের বেশ কয়টি গ্রামের বাড়ি ঘরে পানি উঠে দূর্ভোগের সৃস্টি হয়েছে।
অন্যদিকে বীজতলা, রোপা আমন তলিয়ে গেছে। খাদ্যের পাশাপাশি গো খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।
শিংভাঙ্গা গ্রামের বৃদ্ধা আমেনা বেওয়া সাথে কথা হচ্ছিল, ভয়ার্ত কণ্ঠে বলেন, রাতে নিজের বাড়িতে টং পেতে একাই ঘুমিয়ে ছিলেন। ‘রাইতে পানির শো শো শব্দ ঘুম ভাংগা যায়।
ওই এলাকার দিনমজুর মগর আলী বলেন, ভাদ্র মাসে বন্যা হবো বুজবের পাইনাই। এখন হাট বাজার করতে সমস্যা, সড়কে পানি যাইতে পারিনা, তাই পুলাপান ,গরুবাছর নিয়া কস্টেই আছি।
কুলকান্দি ইউপি,চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক বাবু জানান, জিগাতলায় নদী ভাঙ্গনের ফলে প্রায় ২শতাধিক বাড়ি নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে এবং শতাধিক বাড়িঘর ভাঙ্গার আশঙ্কা রয়েছে।
গোয়ালের চর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর ও পলবান্ধা ইউনিয়নের পূর্ব বাহাদুর পুর গ্রামে নদী ভাঙ্গনের ফলে প্রায় ৩০টি বাড়িঘর নদীর গর্ভে চলে গেছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সুত্রে জানাযায়, মোকাবিলায় আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। চিনাডুলী ও বেলগাছা,সাপধরী ইউনিয়নে ত্রান দিচ্ছি। ত্রাণ কার্যক্রম বন্যা কবলিত এলাকায় চলমান থাকবে।
0comments
মন্তব্য করুন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।