বাঁশখালীতে নারী নির্যাতন মামলার আসামী ইউপি সদস্যকে হত্যার হুমকী
🕧Published on:
বাঁশখালী প্রতিনিধি (চট্টগ্রাম): নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১, চট্টগ্রামে নারী শিশু নির্যাতন মামলায় আপোষ মীমাংসার বৈঠকে স্থানীয় ভিকটিম মুন্নি আক্তারের পক্ষে বাঁশখালী উপজেলার শিলকূপ ইনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুহাম্মদ ইউসুফ প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকায় ওই মামলার বিবাদী নুর মোহাম্মদ গং ইউপি সদস্যকে হত্যা করে লাশ ফেলিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শিলকূপ ইউপি সদস্য মুহাম্মদ ইউসুফ বাঁশখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
জিডি সূত্রে জানা গেছে, ' উপজেলার ৭ নম্বর সরল ইউনিয়নের কাহারঘোনা এলাকার আমিনুর রহমানের কন্যা মুন্নি আক্তার বাদী হয়ে পৌরসভার আস্করিয়া পাড়া এলাকার নুর মুহাম্মদের বিরোদ্ধে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১, চট্টগ্রামে একটি নারী নির্যাতনের মামলা হয়। উক্ত মামলার উভয় পক্ষে একটি আপোষ মীমাংসার বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উক্ত নারী নির্যাতন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিসার কার্যালয়ে বৈঠক হয়। উক্ত বৈঠকে আমি একজন এলাকার মেম্বার হিসেবে ভিকটিম মুন্নি আক্তারের পক্ষে প্রতিনিধি ছিলাম। এর আক্রোশে আমি বৈঠক শেষে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে পৌঁছিলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে বাঁশখালী প্রধানসড়কের পূর্ব পাশে শাহ্ আস্করিয়া ফার্মেসীর সামনে নুর মুহাম্মদ, মু. নাছির, আব্দুল করিম সহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীগণ আমার শার্টের কলার ধরে টানা হেঁচড়া করে এবং মারধর করে। ভবিষ্যতে এ কাজে সহায়তা করলে আমাকে হত্যা করে লাশ ফেলিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।'
স্থানীয় ইউপি সদস্য মু. ইউসুফ বলেন, 'ঘটনাস্থলে কিছু লোকজন ও স্বাক্ষীরা এসে আমাকে তাদের কবল থেকে উদ্ধার করে। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে অবহিত করলে তিনি আমাকে থানা পুলিশের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেন। আমার জীবনের অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনায় আমি থানায় জিডি করতে বাধ্য হই।'
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিউল কবীর বলেন, ‘থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তদন্ত স্বাপেক্ষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
0comments
মন্তব্য করুন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।