সেবা ডেস্ক: মায়ানমার থেকে নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে স্থাপিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে প্রতিদিন কোনো না কোনো অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, যতই দিন যাচ্ছে আশ্রিত রোহিঙ্গারা ভয়ঙ্কর সব অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। ক্যাম্পে ছিনতাই, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, ইয়াবা ব্যবসা ও অনিয়মতান্ত্রিক কাজে রোহিঙ্গাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার সক্রিয় সদস্য মোহাম্মদ নুরকে (২৫) আটক করা হয়েছে।
আটক নুর ১/ইস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি/১৬ ব্লকের হাসান আলীর ছেলে। আটককৃত সন্ত্রাসীকে র্যাব-১৫ এর এএসপি শেখ সাদির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জানা যায়, আটককৃত সন্ত্রাসী নূর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চলাচল সম্পর্কে আরসার নেতাদের অবহিত করতো।
এর আগে সোমবার অভিযান চালিয়ে ৮৫০ ইয়াবাসহ মো. ইব্রাহীম (১৮) নামের এক রোহিঙ্গাকে আটক করেছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।
আটক ইব্রাহীম কক্সবাজারের কুতুপালং ২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি/৫ ব্লকের মৃত মাসুদ হোসেন ছেলে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর কার্যালয়ের পরিদর্শক এস এম আলম খান ইয়াবাসহ রোহিঙ্গাকে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তার নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ৮৫০ ইয়াবাসহ মো. ইব্রাহীমকে আটক করা হয়। আটককৃতকে চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
একইদিন (সোমবার) কক্সবাজারের টেকনাফের ২৪ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প (লেদা) নতুন অংশের বি/৩ ব্লকে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পাঁচটি মোবাইল ছিনতাই করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসী রুবেল (২২)। রুবেল পশ্চিম লেদা গ্রামের আ. গফুরের ছেলে।
জানা গেছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রকাশ্যে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে ব্লকে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।
ছিনতাইয়ের পর রুবেল ক্যাম্প ছেড়ে চলে যায়। এ ঘটনায় কেউ হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।