বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় চার হাজার ডলার হবে ২০৩০ সালে

Seba Hot News
0
বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় চার হাজার ডলার হবে ২০৩০ সালে



সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশ সরকারে’র পরিকল্পনামন্ত্রী এম মান্নান বলেছেন, উন্নয়নে’র রুপকা’র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় জীবন জীবিকা’র মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। সিলেকটিভ লকডাউন দিয়েছেন। 

পোশাক শ্রমিক, ধান কাটা শ্রমিক এবং অন্য শ্রমিকদে’র জন্য লকডাউন ছিল না। সেই সঙ্গে অর্থনীতি সচল রাখতে সোয়া লাখ কোটি টাকা’র প্রণোদনা দিয়েছেন। এখানে কিছু চুরি-চামারি হলেও প্রণোদনা কাজে লেগেছে। 

দেশে’র সব শ্রেণী’র মানুষে’র কঠো’র পরিশ্রমে জিডিপি প্রবৃদ্ধি মাথাপিছু আয় বাড়ছে। আগামী ২০৩০ সালে’র মধ্যে বাংলাদেশে’র মানুষে’র মাথাপিছু আয় চা’র হাজা’র ডলা’র হবে বলে জানান তিনি। 

সোমবা’র এলডিসি উত্ত’রণ নিয়ে জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানী’র হোটেল ইন্টা’রকন্টিনেন্টালে সংলাপে’র আয়োজন করে সেন্টা’র অব গবর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)

 অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিজিএসে’র গবেষণা পরিচালক . আব্দুল্লা আল মামুন। 

বিশেষ অতিথি’র বক্তব্যে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটি’র সদস্য সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী . আব্দুল মঈন খান। বক্তব্য রাখেন সংস্থাটি’র চেয়া’রম্যান . মঞ্জু’র আহমেদ চৌধুরী, নির্বাহী পরিচালক জিল্লু’র ‘রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে’র অধ্যাপক ‘রশীদ আল মাহমুদ তিতুমী’র, বাংলাদেশ ওমেনন্স চেম্বা’র অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি সেলিমা আহমেদ এমপি, সংসদ সদস্য . হাবিবে মিল্লাদ, বিশ্বব্যাংকে’র কান্ট্রি ডিরেক্ট’র (বাংলাদেশ এবং ভুটান) মার্সেই মিয়াং টেমবন, প্রফেস’র . এমএ আজিজ . আবু ইউসুফ প্রমুখ।

 পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ইউপি নির্বাচন চলছে। আনন্দমুখ’র পরিবেশে নির্বাচন হচ্ছে। বিএনপি প্রথমে বলল নির্বাচন ক’রব না। এখন তাদে’র লোকজন বেনামে নির্বাচন ক’রছে। এতে কোন বাধা নেই। পরিষ্কা’র গণতন্ত্র চাইলে চর্চা ক’রতে হবে। মাঠ ছেড়ে গেলে চলবে না। 

খেলা’র জন্য মাঠে নামতে হয়। গ্যালারিতে বসে খেলা যাবে না। দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চুরি কিছু হচ্ছে। কিন্তু সেটি চিল্লাচিল্লি করে থামানো যাবে না। এ’র জন্য আইন আছে, আইনে’র মাধ্যমে ধ’রতে হবে।

 বিশেষ অতিথি’র বক্তব্যে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটি’র সদস্য সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী . আব্দুল মঈন খান বলেন, গণতন্ত্রে’র ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। 

অর্থনৈতিক উন্নয়ন সমাজে’র মধ্য ব্যালেন্স নেই। মাথাপিছু আয় বাড়লেও লাভ নেই যদিও আয়ে’র সমবণ্টন না হয়। 

দেশে ধনী-গরিবে’র বৈষম্য বাড়ছে। মেধাবী তরুণরা দেশে থাকতে চায় না। সুযোগে’র অভাবে তারা এখানে মেধা’র চর্চা ক’রতে পারে না। 

ব্যাপক দুর্নীতি জবাবদিহি’র অভাব প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতাকে নষ্ট করে দিয়েছে। অনেকে টাকা তৈরি’র মেশিনে পরিণত হয়েছেন। বিদেশী বিনিয়োগকারীরা দেশে এসে ক্লান্ত হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। 

গণতন্ত্র না থাকায় সুশাসন হচ্ছে না।

 মার্সেই মিয়াং টেমবন আ’রও বলেন, একটা দেশে’র উন্নয়নে কমবেশি ওঠানামা থাকবেই এবং এটি প্রত্যেকটি পরিবারে’র মতো, ব্যক্তি জীবনে’র মতো। সেখানে উথাল পাথাল থাকবেই। তবে আমাদে’র এগুলোকে সামগ্রিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। 

এই অগ্রগতিতে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক সবসময়ই বাংলাদেশে’র সঙ্গে থাকতে চায়। কেননা বিশ্বে’র যে কয়েকটি দেশ খুব স্বল্পতম সময়ে উন্নতি করেছে এবং ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে, বাংলাদেশে তাদে’র মধ্যে অন্যতম। 


শেয়ার করুন

-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top