বকশীগঞ্জে ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র মোড়কে মাঠে নামতে চায় বিএনপি
🕧Published on:
নূরুজ্জামান খান: জামালপুরের বকশীগঞ্জে আগামি ২৩ ডিসেম্বরে দুটি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বকশীগঞ্জ সদর ও বাট্টজোড় ইউনিয়নে নির্বাচন উপলক্ষে জমে উঠেছে আগাম প্রচার-প্রচারণা।
আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু না হলেও কৌশলে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য প্রার্থীরা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। বিশেষ করে ১০ বছর পর এ দুটি ইউনিয়নে নির্বাচন হওয়ায় ঈদের আমেজ চলছে ভোটারদের মধ্যে। প্রার্থীরাও সমানতালে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ।
এবারের নির্বাচনে দুই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দেড় ডজন চেয়ারম্যান প্রার্থী মাঠে নেমেছেন। তারা ইতোমধ্যে দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে কেন্দ্রে জোড় লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন।
কে দলীয় মনোনয়ন পাবেন তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। আগামি ২৫ নভেম্বর মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ।
২৩ ডিসেম্বর নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার চেয়ারম্যান পদ গুলো নিজেদের আয়ত্বে নিতে চান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
পাশাপাশি ক্ষমতার ভাগ বসাতে চায় বিএনপিও। তবে বসে নেই জাতীয় পার্টির প্রার্থীরাও। যদিও বিএনপির প্রার্থীরা স্বতন্ত্র মোড়কে এই দুটি নির্বাচনে অংশ নিতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।
বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মো.সুমন ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নামে দুই বিএনপি নেতা নিবার্চনে অংশ নিতে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন।
মো. সুমন ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমও প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিএনপি ইউপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন তারা।
অপরদিকে বাট্টাজোড় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহŸায়ক মোতালেব সরকার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করার ঘোষণা দিয়েছেন।
তার সমর্থকরা ভোটারদের মাঝে সাড়া ফেলতে বিভিন্ন ভাবে শুভেচ্ছা ও প্রচারাভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। মূলত স্বতন্ত্রের আদলে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
বকশীগঞ্জ সদর ইউপি নির্বাচনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. সুমন জানান, নির্বাচন অবাধ ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে আমার বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।
জনগণ মুখিয়ে আছে ভোট দেওয়ার জন্য। তাই জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে তিনি স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে মাঠে নেমেছেন।
বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহŸায়ক মানিক সওদাগর বলেন, বিএনপির কোন প্রার্থী দলের সাথে আলোচনা করে প্রার্থী হয় নি। যারা নির্বাচন করতে চায় তারা নিজ দায়িত্বে মাঠে নেমেছেন।
উপজেলা বিএনপি তাদের কোন দায় দায়িত্ব নেবে না।
0comments
মন্তব্য করুন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।