শফিকুল ইসলাম: উলিপুরের সাহেবেরআলগা ইউনিয়নের অধিকাংশ ভোটার ব্রহ্মপুত্রের পূর্বপারের। তাই এপারের ভোটাররাই নৌকার ‘অধিকার’ রাখেন বলে দাবি তুলেছেন।
তাদের মতে, এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। তার মধ্যে সাড়ে ৭ হাজারই পূর্বপারে। এছাড়াও চরাঞ্চলের দুঃখ-দুর্দশা চরাঞ্চলের মানুষই বোঝেন। তাই চরাঞ্চলে নৌকার চেয়ারম্যান হলে তুলনামূকভাবে উন্নয়ন হবে চরাঞ্চলবাসীর।
ফলে গত কিছুদিন ধরে আ’লীগের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিভিন্নভাবে এ কথাটাই বোঝাতে চাইছেন তারা। তাদের দাবি ‘নৌকা চাই’।
জানা গেছে, সাহেবেরআলগা ইউনিয়নে নৌকার হাল ধরতে দৌঁড়ঝাপ চালিয়ে যাচ্ছেন ৫ প্রার্থী। তারা হলেন- মো. আব্দুল বারী, শহিদুল ইসলাম, এ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম, লুৎফা প্রধানী ও আব্দুর রশিদ মীর। তাদের প্রত্যেকের অবস্থান জানতে চাইলে প্রবীন ভোটার ওমর আলী, তোফা উল্লাহ, ফরিদ মিয়া, হাবিব আহমেদসহ অনেকে জানান, আব্দুল রশিদ মীর একটি ইট ভাটার ম্যানেজারী করেন। তার আত্মীয়-স্বজনরা জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত। তার তেমন জনপ্রিয়তা নেই। অন্যদিকে শহিদুল ইসলাম একজন সরকারী স্কুল শিক্ষক। তার ইনডেক্স নম্বর-২৫৩৪২২।
ফলে তিনি নির্বাচন করতে পারছেন না। এ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম বছরের অধিকাংশ সময় থাকেন জেলা শহর কুড়িগ্রামে। তিনি আইন ব্যবসা করেন। জনগণের দূর্দশা তিনি কি বুঝবেন? লুৎফা প্রধানী আমাদের চরাঞ্চল থেকে প্রায় ২৩ কিলোমিটার দুরে অবস্থান করেন। চরাঞ্চলে আসেন হঠাৎ-মঠাৎ। ফলে তার উপরও আমাদের আস্থা নেই। তাই মো. আব্দুল বারীকে নৌকা প্রতীক দিতে হবে। তিনি নির্বাচিত হলে আমাদের চরাঞ্চলের উন্নয়ন হবে।
এলাকার নবীন মিয়া, নজরুল ইসলাম, বাবুল আক্তার সহ অনেকে জানান, আব্দুল বারী নৌকা প্রতীক পেলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন এতে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি চেয়ারম্যান হলে চরের মানুষের দুঃখ অনেকাংশেই কমে আসবে। চলতি নভেম্বর মাসেই নির্বাচনী তফশিল ঘোষনা করার কথা রয়েছে। তফশিলের পর নৌকা যেন ব্রহ্মপুত্র পূর্বপারেই দেয়া হয়।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।