মার্চ থেকে ক্লাসে স্বাভাবিক পাঠদান চালু হতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী
🕧Published on:
সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশ স’রকারে’র শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, ২০২২ এ’র জানুয়ারি মাস থেকে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হলেও আগে’র মতো আংশিকভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান করানো হবে। আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত এটি বহাল থাকবে।
তিনি
বলেন, করোনা’র নতুন ধ’রন ওমিক্রন
পরিস্থিতি আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত মনিটরিং
করা হবে। সেটি নিয়ন্ত্রণে
থাকলে মার্চ মাসে’র প’র স্বাভাবিক শ্রেণি
পাঠদান শুরু করা হবে।
এ’র আগ পর্যন্ত বর্তমান
নিয়মে ধাপে ধাপে শিক্ষার্থীদে’র
ক্লাস নেয়া হবে। মার্চে’র আগ
পর্যন্ত আমরা বিষয়টি মনিটরিং
ক’রবো।
বৃহস্পতিবা’র
রাজধানী’র মাতুয়াইল মৌসুমী প্রিন্টিং প্রেস পরিদর্শনে’র প’র শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদে’র
এসব কথা বলেন।
দীপু
মনি বলেন, আগামী বছ’র থেকে প্রথম
থেকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পাইলটিং
কার্যক্রম হিসেবে নতুন কারিকুলাম শুরু
করা হবে। এজন্য সারাদেশে’র
১০০টি স্কুলে এ কার্যক্রম শুরু’র
সিদ্ধান্ত থাকলেও সেটি কমিয়ে ৬০টি
স্কুল নির্বাচন করা হয়েছে। ওই
প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন কারিকুলাম পড়ানো
হবে।
তিনি
বলেন, সব শিক্ষার্থী ভর্তি
না হওয়া পর্যন্ত নতুন কারিকুলাম পড়ানো
সম্ভব নয়। এ কা’রণে
আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে তাদে’র শিক্ষাবর্ষ
শুরু করা হবে। নতুন
কারিকুলামে বাংলাদেশে’র আর্থ-সামাজিক ও
ভৌগোলিক সব বিষয় যুক্ত
করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী
জানান, এবা’রও বই উৎসব করা’র
মতো পরিস্থিতি আমাদে’র নেই। সব স্কুলেই
ক্লাস ধরে ধরে বিত’রণ
করা হবে। এতে কোনো
‘রকম সমস্যা হবে না। শিক্ষার্থীরা
সময়মতো বই হাতে পেয়ে
যাবে।
তিনি
বলেন, ৯৫ শতাংশে’র বেশি
বই ৩১ ডিসেম্বরে’র মধ্যে
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছে যাবে। এ’রইমধ্যে ১৭ কোটি’র বেশি
বই বাঁধাই হয়ে গেছে। আগামী
তিন-চা’র দিনে’র মধ্যে
সবটাই হয়ে যাবে। তা’রপ’রও
স্বল্পসংখ্যক বাদ থাকতে পারে।
সেটাও আমরা জানুয়ারি’র প্রথম
সপ্তাহে’র মধ্যে শিশুদে’র হাতে দিতে পা’রবো।
তিনি
আরো বলেন, আমি প্রেসে দেখলাম-
কাজ পুরোদমে চলছে। কাজ সবটুকুই শেষ
হয়ে গেছে। আগামী দু’দিনে’র মধ্যে
বাঁধাই হয়ে যাবে।
দীপু
মনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি’র কা’রণেই ১ জানুয়ারি বই
দিতে পা’রবো না। আগামী ৩১
ডিসেম্বরে’র মধ্যে ৯৫ শতাংশে’র বেশি
বই স্কুলে স্কুলে পৌঁছে যাবে। বাকি বই ৭
জানুয়ারি’র মধ্যে পৌঁছে যাবে।
দীপু
মনি আরো বলেন, পাঠ্যপুস্তকে’র
মান ঠিক আছে কিনা
সেটি নিশ্চিত হতে জাতীয় শিক্ষাক্রম
ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে’র পক্ষ থেকে সপ্তাহে
দুই-তিন দিন করে
মনিটরিং করা হচ্ছে। কোথাও
কোনো ত্রুটি পাওয়া গেলে সেসব বই
বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী মাতুয়াইলে’র মৌসুমী প্রেস, জনতা প্রেস ও প্রমা প্রেস পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তা’র সঙ্গে ছিলেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে’র কর্মকর্তা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে’র বিভিন্ন স্তরে’র কর্মকর্তারা।
0comments
মন্তব্য করুন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।