রৌমারীতে ঝুকি নিয়ে নৌকা পারাপার দূর্ভোগে ১৩ গ্রামের মানুষ

S M Ashraful Azom
0
রৌমারীতে ঝুকি নিয়ে নৌকা পারাপার দূর্ভোগে ১৩ গ্রামের মানুষ



শফিকুল ইসলাম: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের বাঘের হাট এলাকার বাজার সংলগ্ন জিঞ্জিরাম নদীতে ব্রীজ না থাকায় জীবনের ঝুকি নিয়ে নদী পারাপার হচ্ছে ১৩ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। 

কখনো নৌকায় আবার কখকনো বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে চরম দূর্ভোগের শীকার হচ্ছে এলাকার সকল শ্রেণী পেশার মানুষ। ব্রীজের দাবীতে দপ্তরে দপ্তরে ধর্না দিয়েও কাঙ্খিত ফল হয়নি। জনপ্রতিনিধিরাও তাদের প্রতিশ্রæতি বজায় রাখেনি। ফলে দীর্ঘদিন ধরে শীত বর্ষা সকল মৌসুমে তাদের ভোগান্তির শেষ নেই।

মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বাগের হাট এলাকার মধ্য দিয়ে বয়ে চলেছে জিঞ্জিরাম নদীত। 

নদীর দুই পাড়ে চলাচলের রাস্তা থাকলেও জনৈক ই¯্রাফিলের বাড়ী সংলগ্ন নদীতে ব্রীজ না থাকায় তেকানি ঝগড়ারচর, চেংটাপাড়া, কাউয়ারচর, চরবোয়ালমারী, চরেরগ্রাম, ধর্মপুর, ঝগড়ারচর ও ডাঙ্গুয়াপাড়াসহ ১৩ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। 

এছাড়াও ওই এলাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ কৃষিপণ্য ও অসুস্থ্য রোগী আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। 

স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিবাহিত হলেও নির্মিত হয়নি একটি ব্রীজ। ফলে কোন কোন বছর বাশেঁর সাকোঁ আবার কোন বছর নৌকা দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে পারপার হতে হচ্ছে। 

মাঝে মধ্যে নৌকা পানির নিচে তলিয়ে দূর্ঘটনার শিকারও হয়েছেন অনেকেই। এর আগে এলাকাবাসির সহযোগিতায় কয়েকবার বাশের সাকোঁ নির্মাণ করে পারাপার হতেন। 

গত বন্যায় জিঞ্জিরাম নদীর উপর বাশেঁর সাকোঁ থাকলেও একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় ওই সাকোঁটির মাচা খুলে নদীর কিনারেই স্তুপ করে রাখা হয়। তবে সাকোঁর খুটিগুলো নদীতেই রক্ষিত রয়েছে।  

এতে রৌমারী উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় পড়েছে অত্র এলাকার মানুষ। বর্তমানে উপজেলার সাথে যোগাযোগের একমাত্র ভরসা নৌকা। 

এই নৌকা দিয়ে কৃষক কৃষি পূর্ণ বাজারজাত করণ, ধান, শাকসবজি, তরিতরকারি বাজারে আনা নেওয়ার সমসা হচ্ছে। সেই সাথে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৩০ হাজার লোকজন যাতায়াত করে থাকেন। বর্তমানে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছে। 

ওই এলাকার স্কুল শিক্ষার্থী মনিয়া খাতুন জানান, প্রায় ৮০ মিটার জিঞ্জিরাম নদীতে ব্রীজ না থাকায় সাড়া বছর নৌকা দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে পারাপর হয়ে স্কুলে যাচ্ছি।তা ছাড়া পারাপার হলেই ৫ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়।

এলাকাবাসি মহির উদ্দিন বলেন, এলাকাবাসির সহযোগিতায় এই নদীর উপর বাশেঁর সাকোঁ দেওয়া হয়েছিল। সেটা দিয়ে সবাই সহজে যাতায়াত করতে পারত। এখন একটি মহলের কারনে বাশেঁর সাকোঁটি খুলে রেখেছে এবং তাদেরই লোক দিয়ে ঘাটে নৌকা দেওয়া হয়েছে। নৌকার মালিককে জনপ্রতি ৫ টাকা করে চাঁদা দেওয়া লাগে।

।এলাকাবাসি ইউনুস খান ক্বারী বলেন, ব্রীজ না থাকায় এখানকার সকল পেশাজীবি মানুষের চলাচলে অনেক সমস্যা হয়েছে। আমি ব্রীজের জন্য উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

স্থানীয় দাঁতভাঙ্গা ইউপি সদস্য মো. জাকির হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এলাকার মানুষ খুব কষ্টে যাতায়াত করে। কয়েকবার উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন

উপজেলা প্রকৌশলী যুবায়েত হোসেন জানান, বাঘেরহাট জিঞ্জিরাম নদীর উপর ৬০ মিটার ব্রীজের জন্য ডিও পাঠানো হয়েছে। আশা করছি দ্রæত হয়ে যাবে।

 


শেয়ার করুন

-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
ট্যাগস

Post a Comment

0Comments

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top