দেশের ১ম অত্যাধুনিক বিভাগীয় সদর দফতর কমপ্লেক্স ভবন এর উদ্বোধন

🕧Published on:

দেশের ১ম অত্যাধুনিক বিভাগীয় সদর দফতর কমপ্লেক্স ভবন এর উদ্বোধন



সেবা ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানভিত্তিক জাতি হিসেবে দেশ গড়ে তোলা’র মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশে রূপান্ত’র করাই আমাদে’র লক্ষ্য।

রোববা’র গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে’র মাধ্যমে নবনির্মিতরংপু’র বিভাগীয় সদ’র দফত’র কমপ্লেক্স ভবনএ’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে কথা বলেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী ২০০৮ সালে নির্বাচনে’র আগে আওয়ামী লীগে’র দেওয়া নির্বাচনী ইশতেহারে’র কথা উল্লেখ করে বলেন, তা’র স’রকা’র নির্বাচনী ইশতেহা’র অনুযায়ী সকল উন্নয়ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে।

তিনি বলেন, ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা আমরা বাস্তবায়ন শুরু করেছি। ২০১০ থেকে ২০২০ পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে’র মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে জাতিসংঘে’র স্বীকৃতি অর্জন করেছি। এখন আমাদে’র লক্ষ্য হচ্ছে ২০৪১ সালে’র মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলা। সেজন্য ২০২১ থেকে ২০৪১ পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি; সেটাও বাস্তবায়ন হবে ইনশাল্লাহ। বাংলাদেশে’র এই অগ্রযাত্রা আ’র কেউ ভবিষ্যতে থামাতে পা’রবে না।

স’রকা’র স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু- মহাকাশে উৎক্ষেপণ করেছে এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টা’রনেট সেবাকে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া’র উদ্যোগ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন জাতি গঠন করে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ ক’রতে চাই, সেটাই আমাদে’র লক্ষ্য।

শেখ হাসিনা বলেন, তা’র স’রকারে’র গৃহীত পদক্ষেপে’র ফলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং মানুষে’র মাথাপিছু আয় বেড়েছে। ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। মানুষ অনেক সচ্ছল হওয়া’র সুযোগ পাচ্ছে। কিন্তু আমরা চাই আমাদে’র আরো অনেক দূ’র যেতে হবে।

তিনি বলেন, দেশে আ’র কখনো যেন মঙ্গা বা দুর্ভিক্ষ দেখা না দেয়। দেশে’র মানুষ যেন আ’র কোনো কষ্ট না পায়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে’র সিনিয়’র সচিব কে এম আলী আজম রংপু’র বিভাগীয় কমিশনা’র মো. আব্দুল ওয়াহাব ভূঞা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। নবনির্মিত রংপু’র বিভাগীয় কমপ্লেক্সে’র ওপ’র একটি ভিডিও ডকুমেন্টারিও অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিকে’র মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা মানুষে’র দো’রগোড়ায় নিয়ে আসা’র উদ্যোগ স’রকা’র নিয়েছে। সেখান থেকে ৩০ পদে’র ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রাথমিক মাধ্যমিক পর্যায়ে বিনামূল্যে বই দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রত্যেকটি গ্রামকে তা’র স’রকা’র আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন করে গড়ে তুলবে, যাতে গ্রামে’র মানুষ গ্রামে বসবাস ক’রলেও সব ধ’রনে’র নাগরিক সুবিধা পেতে পারে। মানুষকে আ’র কোথাও ছুটোছুটি ক’রতে হবে না। গ্রামেই কর্মসংস্থানে’র ব্যবস্থা হবে। সেজন্যআমা’র গ্রাম আমা’র শহ’র কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে স’রকা’র।

তিনি এসব উন্নয়ন কর্মসূচি যথাযথভাবে বাস্তবায়নে সবা’রকে সহযোগিতা’র অনুরোধ জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, স’রকা’র রংপু’র এবং আশপাশে’র জেলা’র সঙ্গে সড়ক রেল যোগাযোগ উন্নত ক’রছে এবং যমুনা’র ওপ’র পৃথক রেলসেতু নির্মাণ ক’রছে। আমরা দ্রুত রেলে’র ব্যবস্থা ক’রছি, চা’র লেনে’র ঢাকা-রংপু’র মহাসড়ক লেনে’র করা হয়েছে। প্রত্যেকটি বিভাগীয় সড়ককে আমরা চা’র লেনে’র করে দিচ্ছি আ’র হাইওয়ে লেনে’র করে দিচ্ছি।

তিনি বলেন, রংপু’রসহ সব বিভাগে ফুড টেস্টিং ল্যাবরেটরি স্থাপনে’র উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তাছাড়া স’রকারি সবগুলো দফত’র যেন এক জায়গা থেকে মানুষকে সেবা দিতে পারে, সেজন্য আজকে রংপুরে অত্যাধুনিক বিভাগীয় কমপ্লেক্স করে দেওয়া হল।

আওয়ামী লীগ স’রকারে এসে রংপু’র অঞ্চলে’র মঙ্গা দূ’র করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১০ সালে আমরা রংপু’র বিভাগ করে দেই। এখন উদ্বৃত্ত খাদ্যে’র অঞ্চল হয়ে গেছে এই রংপু’র। এক সময় খাবারে’র অভাবে মানুষ মারা গেছে। মানুষ দেখলে মনে হতো জীবন্ত কঙ্কাল হেঁটে বেড়াচ্ছে। অবস্থা আমা’র নিজে’র চোখে দেখা। আল্লাহ’র ‘রহমতে এখন আ’র সেই অবস্থা নেই।

দেশে’র সব গৃহহীনকে ঘ’র করে দেওয়া’র স’রকারে’র বাস্তবায়নাধীন কর্মসূচি’র প্রসঙ্গে স’রকা’র প্রধান বলেন, রংপুরে ভূমিহীন বেশি ছিল। আমরা তাদে’র জমিসহ ঘ’র দিয়েছি। আমি সবাইকে অনুরোধ ক’রবো, সারাদেশে’র কোথাও যেন ভূমিহীন না থাকে। প্রয়োজনে আমরা জমি কিনে ঘ’র করে দেবো।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন, . ওয়াজেদ সাহেব ছিলেন প’রমাণু বিজ্ঞানী। প’রমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সবচেয়ে বেশি সোচ্চা’র ছিলেন তিনি। আজ আমরা সেই রূপপু’র পা’রমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ ক’রছি। ২০২৪ সালে’র মধ্যে আশা করি, সেখান থেকে বিদ্যুৎ স’রবরাহ ক’রবো। থেকে উত্ত’রবঙ্গই সবচেয়ে লাভবান হবে। আমরা চাই, দেশটা আরো উন্নত হবে, এগিয়ে যাবে।

রংপু’র অঞ্চলে’র শিক্ষা’র উন্নয়নে স’রকারে’র পদক্ষেপে’র কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অঞ্চলে শিক্ষা’র হা’র কম ছিল, কিন্তু এখানে মেধাবী ছাত্র ছিল। কাজেই আমরা সেদিকে হিসাব করে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। কুড়িগ্রামে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি, লালমনি’রহাটে অ্যাভিয়েশন এবং অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটি এবং রংপুরে বেগম রোকেয়া’র জন্মস্থান পায়রাবন্দে একটা কমপ্লেক্স এবং ট্রেনিং সেন্টা’র করা হয়েছে। রংপু’র বিশ্ববিদ্যালয় বেগম রোকেয়া’র নামে করে দিয়েছি। কেননা তিনিই প্রথম শিক্ষা’র উদ্যোগ নিয়েছিলেন বলেই আমরা কিছু লেখাপড়া’র সুযোগ পেয়েছি।

রংপু’র বিভাগীয় সদ’র দফত’র কমপ্লেক্স ভবনটি খুবই চমৎকা’রভাবে তৈরি করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আধুনিক চিন্তাভাবনা নিয়ে আলো বাতাসে’র ব্যবস্থা রেখে ১০ তলা ভবন করা হয়েছে। সময়ে’র আগে কাজ শেষ হয়েছে, টাকাও সাশ্রয় হয়েছে। সব জায়গায় প্রজেক্ট দিলে টাকা সাশ্রয় হয় না, বরং পরে আবা’র চায়। সে জন্য সংশ্লিষ্টদে’র ধন্যবাদ জানাই। আমি আশা করি, ভবিষ্যতে যারা এমন কমপ্লেক্স ক’রবে, তারাও যেন বিষয়টি মাথায় রাখেন। 


শেয়ার করুন

-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

,

0comments

মন্তব্য করুন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।