“সামরিক জাদুঘর তরুণদের সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত করবে”

S M Ashraful Azom
0
“সামরিক জাদুঘর তরুণদের সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত করবে”



সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশ স’রকারে’র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘ’র (বিএমএম) দেশে’র স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ‘রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দিতে তরুণ প্রজন্মে’র পাশাপাশি শিশুদে’রও অনুপ্রাণিত ক’রবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘ’র থেকে তরুণ প্রজন্ম দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে। দেশে’র স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ‘রক্ষা’র জন্য সশস্ত্র বাহিনী- সেনা, নৌ বিমান বাহিনীতে যোগদানে এবং দেশপ্রেমে তরুণরা উদ্বুদ্ধ হবে।

বৃহস্পতিবা’র সকালে আন্তর্জাতিক মানে’র স্থাপত্য কীর্তি বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে’র উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথি’র ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে’র মাধ্যমে বিজয় স’রণি’র বঙ্গবন্ধু জাদুঘ’র প্রান্তে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাদুঘ’রটি দেশে’র সশস্ত্র বাহিনী’র জন্য একটি মাইলফলক হবে। যা’র মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম শিশুরা মহান মুক্তিযুদ্ধে’র প্রকৃত ইতিহাসে’র পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনী’র অবদান সম্পর্কে জানতে পা’রবে।

তিনি বলেন, আমি মনে করি- এটা হবে সারা পৃথিবী’র মধ্যে একটি শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তি নির্ভ’র সামরিক জাদুঘ’র। সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনী’র জন্য পৃথক প্রদর্শনী’র ব্যবস্থা থাকায় এখানে আগত তরুণ থেকে বয়োবৃদ্ধরা যেমন সম্পর্কে জ্ঞানার্জন ক’রতে পা’রবেন তেমনি তরুণ প্রজন্ম সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদানে আরো আগ্রহী হবে। আমাদে’র স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ‘রক্ষায় আরো উদ্বুদ্ধ হবে। কাজেই জাদুঘ’রটি শুধু প্রদর্শনী’র জন্যই নয়, এটা তরুণ প্রজন্মকে যেমন আকর্ষণ ক’রবে তেমনি তাদে’রকে দেশপ্রেমেও উদ্বুদ্ধ ক’রবে।

যে কা’রণে ক্ষুদ্র পরিসরে থাকা আমাদে’র সামরিক জাদুঘ’রকে বৃহৎ পরিসরে এবং আরো আকর্ষণীয় করে বঙ্গবন্ধু নভো থিয়েটারে’র পাশে বিজয় স’রণিতে তৈরি’র উদ্যোগ তা’র স’রকা’র গ্রহণ করে। পাশাপাশি সেখানে স’রকারি উপহা’রগুলো প্রদর্শনী’র জন্য একটি তোষাখানা জাদুঘ’রও নির্মাণে’র উদ্যোগ গ্রহণ করে। যা’র নির্মাণে’র দায়িত্ব পায় সামরিক বাহিনী। পাশাপাশি সামরিক জাদুঘ’রটা যেন পৃথিবী’র অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি সামরিক জাদুঘ’র হিসেবে গড়ে উঠতে পারে সেটাই তা’র আকাঙ্ক্ষা ছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে’র মানুষে’র যে ইতিহাস ‘রয়েছে, যেমন- আমাদে’র মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা’র ইতিহাস। সশস্ত্র বাহিনী আমাদে’র সার্বভৌমত্বে’র প্রতীক, কাজেই সে সম্পর্কে যেন আমাদে’র দেশে’র মানুষ জানতে পারে, জ্ঞানার্জন ক’রতে পারে, তাদে’র কর্মকাণ্ড উপলব্ধি ক’রতে পারে সে ব্যবস্থা আমরা করে যাচ্ছি।

জাদুঘ’র থেকে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল, বিমান বাহিনী প্রধান এয়া’র চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান, প্রতি’রক্ষা মন্ত্রণালয়ে’র সিনিয়’র সচিব আবু হেনা মোস্তফা কামাল প্রমুখ।

মন্ত্রিপরিষদে’র সদস্য, সংসদ সদস্য, পদস্থ বেসামরিক সামরিক কর্মকর্তারা সময় উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘ’রটি বঙ্গবন্ধু নভো থিয়েটারে’র পশ্চিম পাশে ১০ এক’র জমিতে নির্মিত হয়েছে। যেখানে স্বাধীনতা’র আগে পরে সামরিক বাহিনী’র বিভিন্ন স’রঞ্জামাদি উপস্থাপন করা হয়েছে। জাদুঘ’রটিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী বিমান বাহিনী’র জন্য নির্ধারিত গ্যালারিসহ ছয়টি পৃথক অংশ ‘রয়েছে। প্রতিটি বাহিনী’র গ্যালারিতে ‘রয়েছে বঙ্গবন্ধু কর্না’র।

এখানে আর্ট গ্যালারিসহ মাল্টিপা’রপাস এক্সিবিশন গ্যালারি, ব্রিফিং রুম, স্যুভেনি’র শপ, ফাস্ট এইড কর্না’র, মুক্তমঞ্চ, থ্রিডি সিনেমা হল, মাল্টিপা’রপাস হল, সেমিনা’র হল, লাইব্রেরি, আর্কাইভ, ভাস্কর্য, ম্যুরাল, ক্যাফেটেরিয়া, আলোকোজ্জ্বল ঝর্ণা বিস্তীর্ণ উন্মুক্ত প্রান্ত’র সবকিছু মিলে একটি চমৎকা’র দৃষ্টি নন্দন প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

বাংলাদেশি সামরিক বাহিনী’র গৌ’রবময় ইতিহাস সম্পর্কে জনগণকে শিক্ষিত করা’র জন্য বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘ’র ১৯৮৭ সালে মি’রপু’র সেনানিবাসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা প’রবর্তীতে ১৯৯২ সালে ঢাকা’র বিজয় স’রণি রোডে’র পাশে বঙ্গবন্ধু প্ল্যানেটোরিয়ামে’র পশ্চিম পাশে বর্তমান অবস্থানে স্থানান্তরিত হয়।

জাদুঘ’রটি বাংলাদেশে’র সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী বিমান বাহিনী’র গৌ’রবময় অতীত, চ্যালেঞ্জ, অর্জন এবং মূল অগ্রগতি সম্পর্কে দেশে’র জনগণকে, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে প্রামাণিক তথ্য প্রদানে’র প্রতিশ্রুতি দেয়। প্রদর্শিত তথ্য গবেষণা উদ্দেশ্যে ব্যবহা’র করা যেতে পারে। 


শেয়ার করুন

-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top