কাজিপুর প্রতিনিধি: মাঘের কনকনে শীতের রাতে হতদরিদ্র শীতার্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কম্বল গায়ে জড়িয়ে দেন কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী। গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) প্রথমে তিনি উপজেলার ঢেকুরিয়া ওয়াপদা বাঁধে আশ্রিত ঝুপড়ি ঘরের বাসিন্দা ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে বসবাসরতদের গায়ে একটি করে কম্বল গায়ে জড়িয়ে দেন।
এরপর রাত সাড়ে আটটায় ইউএনও’র উষ্ণতার কম্বলভর্তি গাড়ি এসে থামে উপজেলার মেঘাই নতুন বাজার এলাকায়। গাড়ি থেকে নেমে তিনি মেঘাই নতুন ও পুরাতন বাজার, মেঘাই বাসষ্ট্যান্ড, মসজিদ চত্বর এলাকাসহ রাস্তার দুপাশের চা বিক্রেতা ,পিঠার বিক্রেতা, ক্ষুদ্র কাঁচামালের বিক্রেতা ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।
এসময় ইউএনও সাথে ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার একেএম শাহা আলম মোল্লা
মেঘাই নতুন বাজারের চা বিক্রেতা সুজন জানান, ‘কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড শীত পড়ছে। রাইতে শীতে খুব কষ্ট হয় আমাদের। আইজক্যা রাইতে ইউএনও সারের দেয়া কম্বল গায়ে দিয়া ছলপল নিয়া আরামে ঘুমাতে পারমু।’
মেঘাই বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তার পাশে থাকা ছিন্নমুল পিঠা বিক্রেতা হেলাল বলেন, ‘কোনমতে কাপড় গায়ে দিয়া জার(শীত) পার হরছি। এবার কেউ কম্বল দিলো না । আইজক্যা ইউএনও স্যারের দেয়া কম্বলডো আমার ইস্কুলে পড়া ছেলেডোক দিমু। গায়ে মুইড়া পড়তে পারবো।’
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, ‘কাজিপুর যমুনা নদীর তীরে হওয়ায় এখানে শরিত প্রকোপ অনেক বেশি। তদুপরি মৃদু শৈত্য প্রবাহ চলছে। প্রচণ্ড শীতে হতদরিদ্র মানুষদের একটু উষ্ণতা দিতেই রাতে ঘুরে গুরে প্রকৃত অসহায়কে ককম্বল দিচ্ছি।পুরো শীতজুড়ে আমরা চেষ্টা করবো এটি করে যাওয়ার।’ এসময় সমাজের বিত্তবানদের অসহায় শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।