স্টাফ রিপোর্টার : দীর্ঘ বিরতির পর কয়েকদফা তারিখ নির্ধারণ হলেও সম্মেলন পিছিয়ে যায়। অবশেষে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন।
এ উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতিতে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের আলোচনায় প্রাধান্য পাচ্ছে সম্মেলনের বিষয়।
জেলা শহরসহ সবগুলো উপজেলাজুড়ে গ্রামের বাজার এবং সড়কে সড়কে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থীদের পক্ষে ছবি সম্বলিত ফেস্টুন লাগানো হয়েছে।
প্রার্থিতা জানান দিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা লক্ষ্য করা গেছে।
সাধারণ নেতাকর্মীদের দাবি, ভোটের মাধ্যমে যেন তাদের নেতা নির্বাচিত হয়। দুঃসময়ে কর্মীদের পাশে থাকা সক্রিয়, ত্যাগী, সাংগঠনিক যোগ্যতা সম্পন্ন ও কর্মীপ্রিয় নেতার নেতৃত্ব চায় তৃণমূল।
তবে নেতৃত্বে আসছেন কারা! এনিয়ে চলছে জল্পনা কল্পনা। সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে চাঙ্গা ভাব বিরাজ করছে।
প্রাপ্ততথ্যে সভাপতি পদে নাম শোনা যাচ্ছে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা শাখার বর্তমান সহ সভাপতি খন্দকার আজিজুল হক আরজু, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল আলম তৌফিক।
এদিকে পাবনা-২ আসনের এমপি খন্দকার আজিজুল হক আরজুকে সভাপতি হিসেবে নেতৃত্বে চান তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। প্রকাশ্যেই সাটানো ফেস্টুনে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব এ দাবি।
সম্প্রতি সভাপতি প্রার্থিতা জানান দেওয়ায় খন্দকার আরজুকে ঘায়েল করতে লাগিয়ে দেওয়া হয় নানা রকম তকমা। আমিনপুরে অস্ত্র উদ্ধার ও দু’জন গ্রেফতার ঘটনায় খন্দকার আরজুকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হয়।
এক ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলার ঘটনা এবং নগরবাড়ির নলখোলা মথুরাপুর নতুন বাজারকে ‘এমপি বাজার’ নামে ছড়িয়ে খন্দকার আরজুকে ফের দু’দফায় বিতর্কিত করার চেষ্টা করে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদের প্রার্থী হচ্ছেন বলেই প্রকাশ্যে ও গোপনে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে দাবি সাবেক সাংসদ আরজুর।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে নাম শোনা যাচ্ছে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, মৎসজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির জেষ্ঠ্য যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল আলিম।
সাধারণ নেতাকর্মীরা বলছেন, সাংসদ গোলাম ফারুক প্রিন্সকে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নেতৃত্বে চান তারা।
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক মনির উদ্দিন আহমেদ মান্না জানান, আগামী ১৯ ফেব্রæয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। কাউন্সিলর হবে ৩৮৬ জন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।