নন্দীগ্রামে মেঘ দেখেই বিদ্যুৎ উধাও, মিললো ১৭ ঘন্টা পর

S M Ashraful Azom
0
নন্দীগ্রামে মেঘ দেখেই বিদ্যুৎ উধাও, মিললো ১৭ ঘন্টা পর



 : আকাশে মেঘ, হালকা বাতাস-বৃষ্টি দেখেই বগুড়ার নন্দীগ্রামে পল্লী বিদ্যুতের ভেলকিবাজির অভিযোগ উঠেছে। গ্রাহকরা বলছেন, এ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়িত হওয়ার পরেও বিদ্যুৎ ব্যবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। ইচ্ছাকৃতভাবে লোডশেডিং করা হচ্ছে। অদক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কারণেও বিদ্যুতের ভেলকিবাজি চলে। 

অন্যদিকে মাঝেমধ্যেই বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করে সেখানে বিকাশ নম্বর রেখে যাওয়ার ঘটনার খবর পাওয়া যায়। বিকাশ নম্বরে ৫ হাজার টাকা পাঠানোর পরপরই চুরি যাওয়া মিটারের খোঁজ মিলেছে। এ যেন অপহরণের পর মুক্তিপন! সম্প্রতি উপজেলার কাথম ও কৈগাড়ী মোড়ে কয়েকটি মিটার চুরির ঘটনা ঘটে। এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। গত এক বছরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সেচ কাজে ব্যবহৃত ও বসতবাড়ির বৈদ্যুতিক মিটার চুরির খবর পাওয়া গেছে। তবে সে বিষয়ে থানা কোনো অভিযোগ হয়েছে কি-না তথ্য পাওয়া যায়নি। 

এদিকে বিদ্যুতের লুকোচুরি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রাহকরা। পৌরসভার মেয়র মো. আনিছুর রহমান নিজেও ফেসবুকে বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, পল্লী বিদ্যুতের নন্দীগ্রাম অফিসের কর্মকর্তা অযোগ্য ব্যক্তি। এরআগে অনেকেই ছিল এমনটা দেখিনি। 

গত শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলাজুড়ে হালকা বাতাস-বৃষ্টি শুরু হতেই বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়। একঘন্টা পর বৃষ্টি থেমে গেলেও ১৭ ঘন্টা পর গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে বিদ্যুতের দেখা মিলেছে। 

গ্রাহকদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ কখন আসবে সে সংবাদ জানার জন্য বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নন্দীগ্রাম এড়িয়া অফিসের কর্তাদের ফোন করলে তারা অপেক্ষা করতে বলে। অনেক সময় বলেন ট্রান্সফরমার বিকল অথবা সাব-স্টেশনে কাজ চলছে। কখনো বলে গ্রিড থেকে সমস্যা, অল্প সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ দেওয়া হবে জানিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর থেকেই নম্বরটি ব্যস্ত করে রাখে। কখনো কখনো ফোন নম্বরে কল দিলেও কেউ রিসিভ করেনা। বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা এবং অদক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের লাইন সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকায় লাইন সংস্কার করতে দীর্ঘ সময় লাগে বলেও অভিযোগ করেন গ্রাহকরা। 

এবিষয়ে বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নন্দীগ্রাম এড়িয়া অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বগুড়া গ্রিডে সমস্যা হওয়ার কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। তবে জরুরিভাবে মেরামতের কাজ চলছে। অচিরেই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি। 



শেয়ার করুন

সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

Post a Comment

0Comments

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top