প্রদৃপ্ত প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
🕧Published on:
বিশেষ প্রতিবেদক : প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রোমোটিং ডিজাস্টার রেডি ইনক্লুসিভ প্রিপেয়ার্ডনেস টুওয়ার্ডস অ্যাডাপটেশন (প্রদৃপ্ত) প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার দুপুরে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাদেকুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এসকেএস ফাউÐেশনের প্রতিনিধি মো. আশরাফুল আলম। প্রদৃপ্ত বাস্তবায়ন করছে এসকেএস ফাউÐেশন। সহযোগিতা করছে কেয়ার বাংলাদেশ। আর্থিক সহযোগিতা করছে দাতা সংস্থা মারগারেট এ.কারগিল ফিলানথ্রোপিস।
প্রথমে পাওয়ার পয়েন্ট প্রজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রদৃপ্ত প্রকল্পের প্রধান প্রধান উদ্দেশ্য, প্রধান কার্যক্রমসমূহ এবং প্রত্যাশিত ফলাফল উপস্থাপন করেন কেয়ার বাংলাদেশের টেকনিক্যাল কোঅর্ডিনেটর মো. বায়েজীদ বোস্তামী। এরপর প্রদৃপ্ত প্রকল্প এবং হিউম্যানিটারিয়ান অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স কর্মসূচি ও কেয়ার বাংলাদেশের পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন কেয়ার বাংলাদেশের উর্দ্ধতন কর্মসূচি সমন্বয়ক মৃত্যুঞ্জয় দাস।
বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল হাসান, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম, গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবের সভাপতি কে এম রেজাউল হক, ফ্রেন্ডশিপের রিজিওনাল কোঅর্ডিনেটর মো. আবদুস ছালাম, ব্র্যাকের প্রতিনিধি মো. মুশারফ হোসেন প্রমুখ। কর্মশালায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি (ডিডিএমসি) এবং জেলা সৌহার্দ্য-৩ সমন্বয় কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রদৃপ্ত প্রকল্পটি গাইবান্ধা সদরের মোল্লারচর ও কামারজানি ইউনিয়ন এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ও কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। যা ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ও শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর। এতে প্রত্যক্ষ উপকারভোগী ও অংশগ্রহনকারী রয়েছে ২২ হাজার ২৪৮ জন। জন-অন্তর্ভুক্তিমূলক দুর্যোগ প্রস্তুতি ও ঝুঁকি হ্রাস (ডিআরআর), দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান ও দুর্যোগ-প্রতিরোধে প্রস্তুত জনগোষ্ঠী গঠনের মাধ্যমে সার্বজনীন সহিষ্ণুতা বৃদ্ধি করাই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
এর আগে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে কেয়ার বাংলাদেশ, সৌহার্দ্য-৩ কর্মসূচির প্রধান প্রধান কার্যক্রম এবং অর্জনসমূহ উপস্থাপন করেন এসকেএস ফাউÐেশনের সৌহার্দ্য-৩ কর্মসূচির কর্মসূচি ব্যবস্থাপক শংকর কুমার রায়। সরকারি বিভিন্ন বিভাগ হতে প্রত্যাশিত সহায়তা তুলে ধরেন কেয়ার বাংলাদেশ ও সৌহার্দ্য-৩ কর্মসূচির প্রতিনিধিরা। এরপর গ্রামভিত্তিক স্থানীয় সেবাদানকারী এবং দলনেতাদের ভূমিকা ও তালিকা জেলা প্রশাসকের হাতে হস্তান্তর করা হয়। ২০১৫ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পটি শেষ হবে চলতি বছরের শেষের দিকে।
0comments
মন্তব্য করুন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।