রৌমারীতে আমন ধান চাষে ব্যস্ত কৃষক
🕧Published on:
শফিকুল ইসলাম : কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায় প্রথম ও দ্বিতীয় দফা বন্যার পানি শুকিয়ে গেছে প্রায় মাস খানেক আগে। বন্যার আশঙ্কা কম থাকায় কৃষকরা আমন চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার আমনের বীজতলাও অনেক ভালো হয়েছে। অপর দিকে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে বিনামূল্যে আমন ধানের বীজ ও সার পাওয়ায় কৃষকরা তা সঠিক ব্যবহার করেছে। ফলে আমনের চারা সংকটে পড়বে না বলে কৃষিবিদ জানিয়েছেন।
বন্যার পানি শুকিয়ে বৃষ্টির পানিতে জমি ভেজার পরেই আমন ধান চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। চলতি মৌসুমে ৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিধারন করা হয়েছে।
বিভিন্ন এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা যায়, কয়েক দিনের হালকা বৃষ্টি ও সেচ দিয়ে জমিতে পানি জমা করা হয়েছে। নতুন করে বন্যার পানি না আসায় কৃষক ব্যস্ত হয়ে উঠেন জমি তৈরিতে। ডিএপি, পটাশ ও ইউনিয়া সার ছিটিয়ে জমি তৈরি করেন তারা। আমন ধানের বীজতলা থেকে শ্রমিকরা চারা তুলছেন এবং তা জমিতে রোপন করছেন। বন্যা ও বৃষ্টি কম থাকায় শ্যালো মেশিন দিয়ে জমিতে পানি দিয়ে আমনের চারা রোপন করা হচ্ছে।
খনজনমারা গ্রামের কৃষক আমজাদ হোসেন বলেন, বর্ষার অপেক্ষায় ছিলাম। বন্যা পানির আগে ধানের চারা লাগালে পানি আসলে তলিয়ে যাবে। ফলে কয়েক দিন দেরি করে ধানের চারা লাগালাম। আপাতত বন্যার পানির ভয় কম। তবে বৃষ্টি থাকলে খরচ কম হত। এবার আমি আড়াই বিঘা জমিতে আমন ধানের আবাদ করছি।
চান্দারচর গ্রামের কৃষক গোলাম রব্বানী জানান, এ এলাকাটি নিচু। তাই বন্যার পানি না থাকায় তারাতারি জমিতে ধানের চারা লাগাছি। তবে ডিজেলের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় হতাশায় আছি। আমি এবার এক একর জমিতে ধান চাষ করেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, আমন ধান চাষের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর। নতুন করে কোন বন্যা না হলে সঠিক সময়ে কৃষক তার ফসল ঘরে তুলতে পারবে। জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধিতে কৃষকের খরচ বেশি হলেও ধানের দামও বেশি পাবে কৃষক।
0comments
মন্তব্য করুন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।