জি এম ক্যাপ্টেন : জন্ম থেকেই দুই হাত নেই। তারপরেও সুস্থ স্বাভাবিক অন্যান্য শিক্ষার্থীর মত পা দিয়ে লিখে চলতি বছর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী জছিমিঞা মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মানিক মিয়া।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ফুলবাড়ী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৮ নং কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, একটি উঁচু বেঞ্চে বসে পা দিয়ে লিখে বাংলা ১ম পত্রের পরীক্ষা দিচ্ছে ২২১৫৯৬ রোলধারী মানিক মিয়া। পা দিয়ে লিখলেও অনেক শিক্ষার্থীর তুলনায় তার লেখা সুন্দর জানা গেছে, শারীরিক প্রতিবন্ধী মানিক মিয়ার বাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা গ্রামে। তার পিতা মিজানুর রহমান একজন ঔষধ ব্যবসায়ী। মা মরিয়ম বেগম উপজেলার রাবাইতারী স্কুল এন্ড কলেজের ইতিহাস বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক। পিতা-মাতার বড় ছেলে মানিক মিয়া জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী।জন্ম থেকেই তার দুটো হাত নেই, একটি পা অন্যটির চেয়ে অনেকাংশে খাটো। কিন্তু পড়াশোনায় কখনও পিছিয়ে যায়নি মানিক। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকলেও পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ সহ ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। শুধু পা দিয়ে লেখাই নয়, পা দিয়ে মোবাইল চালনো এবং মোবাইলে কথা বলাসহ কম্পিউটার টাইপিং ও ইন্টারনেট ব্যবহারেও পারদর্শী মানিক মিয়া। ভবিষ্যতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে সে।মানিকের বাবা মিজানুর রহমান জানান, আমার দুই ছেলের মধ্যে মানিক বড়। জন্ম থেকেই তার দুটো হাত না থাকায় আমরা তাকে পা দিয়ে লেখার অভ্যাস করিয়েছি। এজন্য আমার স্ত্রী মরিয়ম বেগমের অবদান অনেক বেশি। মানিক পিইসি ও জেএসসিতে ভাল রেজাল্ট করেছে। আশাকরি সে এসএসসিতেও ভাল রেজাল্ট করবে ফুলবাড়ী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্র সচিব মো. মশিউর রহমান জানান, মানিক মিয়া অন্য শিক্ষার্থীদের মতই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন হওয়ায় তাকে বাড়তি ২০ মিনিট দেওয়াসহ সকল সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।