সেবা ডেস্ক : শেরপুরের সদর থানাধীন এলাকা থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে চাঞ্চল্যকর ৬ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলার ধর্ষণকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, জামালপুর।
জানা যায়, ভিকটিম একটি হতদরিদ্র ঘরের মাতৃহারা সন্তান। ভিকটিমের পাশাপাশি ঘরের বাসিন্দার আসামী মোঃ আঃ কুদ্দুস (৪২), পিতা-মৃত আব্দুল করিম, সাং- মনকান্দা, থানা- শেরপুর সদর, জেলা- শেরপুর। ভিকটিমের মা ৬/৭ মাস পূর্বে মৃত্যুবরণ করায় তার নানি ও দাদীর কাছে লালন-পালন হয়ে আসছিলেন। ভিকটিমের বাবা একজন গরিব অসহায় অটোরিক্সা চালক। ভাই জীবিকা নির্বাহের তাগিদে ওয়েল্ডিং এর দোকানে কাজ করেন। সংসারের অন্যান্য খরচ ও ভিকটিমের সুষ্ঠু ভরন পোষনের জন্য তাহার বৃদ্ধা দাদী ও নানি অন্যের বাড়ীতে গৃহস্থালির কাজ করেন। ঘটনার দিন ০১/১২/২০২২ তারিখে জীবিকার তাগিদে সবাই নিজ নিজ কাজে বেরিয়ে পরে। উক্ত সময়ে বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগে লম্পট চরিত্রহীন আসামী মোঃ আঃ কুদ্দুস (৪২) ভিকটিমকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটির শিশু সুলভ আচরণ ও সরল বিশ^াসকে কাজে লাগিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে আসামী ভিকটিমকে তাহার নিজ বসতঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ভিকটিম ধর্ষণের ফলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরিলে ব্যথায় কান্নাকাটি করতে করতে বসতঘরের দিকে আসতে থাকলে পাড়া প্রতিবেশী লোকজন জিজ্ঞাস করলে ভিকটিম উক্ত ঘটনার বর্ণনা দেন এবং ভিকটিমের গোপনাঙ্গ হইতে রক্তপাত হইতে দেখিলে তাৎক্ষনিকভাবে তার পিতা সংবাদ পাইয়া স্থানীয় লোকজনসহ ভিকটিমকে শেরপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। এহেন নেক্কার জনক ঘটনার সংবাদ প্রাপ্তির পর থেকে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্প ঘটনাটি ছায়া তদন্ত শুরু করে আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রাখে। পরবর্তীতে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে আসামীর অবস্থান নিশ্চিত করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের একটি অভিযানিক দল গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর এলাকায় হতে এই নিকৃষ্ট ঘটনার প্রধান আসামী মোঃ আঃ কুদ্দুস (৪২) কে আটক করে।
ধৃত আসামীকে আইনগতভাবে শেরপুর সদর থানার মামলা নং-০১/৮৩১, তারিখ-০১/১২/২০২২ ইং, ধারা-২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/২০২০) এর ৯(১)/৩০ মূলে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ধরণের অপরাধের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।