নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে রাতের আধাঁরে আবাদি জমির পাশাপাশি পুকুর সংস্কারের নামে মাটি কেটে বিক্রি করার তথ্য পেয়ে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কৌশলী মাটিখেঁকো সিন্ডিকেট ধরতে মধ্যরাতেই অভিযানে যান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম।
এস্কেভেটর (ভেকু) ঠিকাদার-চালকসহ তিনজনকে আটকের পর প্রত্যেককে ১৫দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়।
এস্কেভেটরগুলো বিকল করে দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযানের বিষয়টি জেনে পালিয়ে গেছে অন্য ঠিকাদার ও চালকরা।
গত বুধবার রাত ১টা পর্যন্ত উপজেলার থালতা-মাঝগ্রাম ইউনিয়নের নিমাইদিঘী, ভাটগ্রাম ইউনিয়নের চাকলমা, হাটধুমা ও কল্যাণনগর এলাকায় অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। কারাদন্ডিতরা হলো- নাটোরের সিংড়া উপজেলার ছোট বাঁশবাড়িয়া এলাকার আফতাব প্রামানিকের ছেলে রিয়াদুল ইসলাম, পাবনার আমিনপুরের খানপুর এলাকার সাঈদ ফকিরের ছেলে উজ্জল ফকির এবং একই জেলার সাথিয়ার বড়গ্রাম এলাকার হান্নান সরকারের ছেলে মনজুরুল ইসলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম জানান, কৃষি জমিতে মাটি কাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। রাতের আধাঁরে মাটি কাটা হচ্ছিলো, খবর পেয়ে রাতেই অভিযান চালানো হয়। প্রশাসন সব সময়ই শক্ত অবস্থানে ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। তথ্য পাওয়া মাত্রই অভিযান করা হবে। প্রশাসন কখনোই ম্যানেজ হয়না।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।