রৌমারীতে জমির ফসল তুলে নিল দুর্বৃত্তরা
🕧Published on:
শফিকুল ইসলাম : প্রায় সাড়ে ৩ একর জমির পাঁকা সরিষা তুলে নিয়েছে আইজলগংরা ও দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় একজনকে আটক করে কুড়িগ্রাম কোর্টে প্রেরণ করেছেন রৌমারী থানা পুলিশ।
যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের পশ্চিম ধনারচর গ্রামে।
পুলিশ, ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জনা গেছে, বেলাল হোসেনগং একই এলাকার মাজম আলী, জিন্নাত আলী, আব্দুল হামিদ, ও আহাদ আলীগং এর কাছ থেকে মোট ৫টি দাগে ৩ একর ৩৫ শতক জমি ক্রয়সূত্রে প্রায় ৩৫ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসিতেছেন। এরই মধ্যে জমি বিক্রিত মালিকগণ ওই জমি তাদের দাবী করে বিজ্ঞ আমলী আদালত,রৌমারী কুড়িগ্রাম মামলা দায়ের করেন। পববর্তীতে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট প্রথম আদালত রৌমারী থানায় ও সহকারি কমিশনার ভূমিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনার সরেজমিনে তদন্ত করে ক্রয়সূত্রে মালিকদের পক্ষে সত্যতা পান এবং তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে আরোও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন জমি বিক্রেতাগণ। গত ২০ ফ্রেব্রæয়ারী সোমবার সকালের দিকে জমির পূর্ব মালিক আইজলগং তার আত্মীয় স্বজন ও ভাড়াটিয়া বাহিনী ধারালো দেশিয় অস্ত্র, লাঠি নিয়ে সজ্জিত হয়ে সাড়ে ৩ একর জমির পাঁকা সরিষা ও শাকসবজিসহ বিভিন্ন ফসলাদি তুলে নিয়ে যায়। ক্রয় সূত্রে জমির মালিকের বসতবাড়ি জমি থেকে দুরত্ব হওয়ায় তারা ওই জমির ফসলাদি তুলতে প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলার ভয়ে বাধা দিতে পারেনি। পরে ৯৯৯ এ কল দিলে দ্রæত রৌমারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যান এবং একজনকে আটক করেন। পরে আটককৃত ব্যক্তিকে কুড়িগ্রাম কোর্টে প্রেরন করা হয়।
মামলার বাদী ইমরান হোসেন বলেন, বিবাদী আইজলগং এর ওয়ারিশগণের কাছ থেকে পর্যায়ক্রমে আমার বাবারা জমিগুলি কিনে নেয় এবং আমরা তখন থেকেই ভোগদখল করে খাইতেছি। যাদের জমি কিনে নিছি তাদের বাড়ি জমির কাছে হওয়ায় জোড়পূর্বক ফসল তুলে নিছে। আমরা থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
ক্রয়সূত্রে জমির মালিক আবুল হোসেন, বলেন, ৬২ রেকর্ড অনুয়ায়ী তাদের জমি সব কিনে নিয়েছি। এত বছর পর তারা আমার জমিতে এসে ফসলাদি তুলে নেয় এবং নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখায়।
একই পরিবারের ওমর ফারুক বলেন, আমার বাবা বিবাদীর সকল ওয়ারিশের জমি সব কিনে নিছে। একটি দাগের কিছু অংশ তাদের নামে রেকর্ড হওয়ায় তারা ওই সুযোগে কিছু সন্ডাপান্ডা ভাড়া করে নিয়ে আমাদের সব জমির ফসল তুলে নেয়। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
বিবাদী শাহাদত হোসেন জানান, আমার বাপ-দাদার জমি তারা কিনে নিছে ঠিক। আমরা বলছি জমির কাগজ অনুযায়ী যা পাবেন তাই দেওয়া হবে। কিন্তু তারা কোন কাগজ দেখায় না। এনিয়ে গ্রামে কয়েকবার শালিশ বসলে সমাধান হয়নি।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ রুপ কুমার সরকার জানান, জমির সরিষা তোলার বিষয় অভিযোগ পেয়েছি এবং একজনকে আটক করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়ও ওই বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।
0comments
মন্তব্য করুন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।