রৌমারীতে দরিদ্র মানুষের টাকা নিয়ে উধাও দালাল বিদ্যুত

S M Ashraful Azom
0

 : কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নের দরিদ্র অসহায় মানুষের বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধি ভাতা, ভিজিডি ও চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে প্রায় ১০ লক্ষাধীক টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েছে বিদ্যুত প্রামানিক নামের এক দালাল। 

রৌমারীতে দরিদ্র মানুষের টাকা নিয়ে উধাও দালাল বিদ্যুত



 সে উলিপুর উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের ঘুঘুমারী গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে বলে জানা যায়। এঘটনায় রৌমারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা।

অভিযোগ ও এলাকাবাসি সুত্রে জানা গেছে, দালাল বিদ্যুত ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানদের নাম ভাঙ্গিয়ে বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধি ভাতা ও ভিজিডি’র নাম দেওয়ার কথা বলে গ্রামের দরিদ্র অসহায় শতাধীক মানুষের কাছ থেকে নাম প্রতি ৪ থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয়।  ভুক্তভোগীরা এসব নাম না পেয়ে তাদের পাওনা টাকা ফেরত চেয়ে প্রতারক বিদ্যুতের বাড়িতে ধরনা দেন। সে টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে দিনের পর দিন ভুক্তভোগীদের হয়রানি করে আসছে। এমন কি তার শ্বশুরের কাছ থেকেও লক্ষাধীক টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে অবস্থার বেগতিক দেখে স্ত্রী সন্তান রেখে গোপনে উলিপুর এলাকার এক গৃহবধুকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় প্রতারক বিদ্যুত। অপর দিকে প্রতারক বিদ্যুতের দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখা খাতুনের বাবা জেল হকের কাছে হাওলাদ হিসেবে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নেয় বিদ্যুত। সে টাকাও ফেরত না দিয়ে টালবাহনা করতে থাকে বিদ্যুত। পরে তার শ্বশুর জেলহক বিদ্যুতের একটি মোটরসাইকেল আটক করে রাখেন। খোজ নিয়ে জানা গেছে, নারী লোভী প্রতারক প্রথমে বিয়ে করে কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার ধরনা বাড়ি গ্রামে জান্নাতী নামের এক মেয়েকে। কিছু দিন ঘর সংসার করার পর তার স্ত্রীকে তালাক দেয়। পরে সে উপজেলার সুখের বাতি গ্রামে জুলেখা নামের এক মেয়েকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করে। তাদের ঘরে একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। এদিকে উলিপুর উপজেলার ধরনা বাড়ি গ্রামের সাবেক প্রথম স্ত্রীর আপন খালাতো বোন মমতা বেগমের সাথে প্রেম সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে গৃহবধু মমতাকে  নিয়ে প্রতারক বিদ্যুত পাড়ি জমায় অজানার উদ্যেশে।

ভুক্তভোগী আসমা খাতুন জানান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোজাফর হোসেন এর কথা বলে আমার কাছে ভিজিডি, বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধি ভাতার নামের টাকা নেয় প্রতারক বিদ্যুত। নামগুলি না দেওয়ায় আমি টাকা ফেরত চাইতে গেলে আমাকে নানা ভাবে হুমকি ধামকি দেয় এবং পরে টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রæতি দেয়। প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী টাকা ফেরত চাইতে তার বাড়িতে গিয়ে শুনি সে অন্য একটি মেয়েকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়েছে। 

বিদ্যুত মোবাইল ফোনে জানান, আসমা আমার কাছে নামের কোন টাকা পায় না। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের সাথে আমার ব্যক্তিগত লেনদেন আছে।

এব্যাপারে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, বিদ্যুতের সাথে আমার কোন লেনদেন নাই। আমার নাম করে টাকা উঠানো বিষয়টি সম্পর্ণ মিথ্যা বানোয়াট। 

এবিষয়ে রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ রুপ কুমার সরকার বলেন, আমি রৌমারীতে দায়িত্ব নেওয়ার অনেক আগে তারা অভিযোগ দিয়েছে। ওই অভিযোগের বিষয়টি গুরত্বসহকারে দেখা হবে। 



শেয়ার করুন

সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

Post a Comment

0Comments

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top