[৩৫০] খাদ্যমান নিশ্চিতে ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা বাস্তবায়ন

🕧Published on:

: জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাদ্যের মান নিশ্চিত করার কোন বিকল্প নেই। বাংলাদেশে খাদ্যে মাত্রাতিরিক্ত ট্রান্সফ্যাটের কারণে হৃদরোগসহ বিভিন্ন ধরনের অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি এবং মৃত্যু ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। 

খাদ্যমান নিশ্চিতে ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা বাস্তবায়ন জরুরি



 ট্রান্স ফ্যাটমুক্ত খাদ্য নিশ্চিতকরণে সরকার “খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্স ফ্যাটি এসিড নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা, ২০২১” পাশ করলেও এখনো তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রবিধানমালাটি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। আজ ০৭ জুন ২০২৩ বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) আয়োজিত “খাদ্যে ট্রান্সফ্যাট ও হৃদরোগ ঝুঁকি: আমাদের করণীয়” শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এসব তথ্য তুলে ধরেন বক্তারা। এই আয়োজনে সহযোগিতা করেছে গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই)। বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২৩ এর প্রতিপাদ্য “ফুড স্ট্যান্ডার্ডস সেভ লাইভস”। 


 


ট্রান্সফ্যাটের প্রধান উৎস পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল (পিএইচও), যা ডালডা বা বনস্পতি ঘি নামে পরিচিত। সাধারণত বেকারি পণ্য, প্রক্রিয়াজাত ও ভাজা পোড়া স্ন্যাক্স এবং হোটেল-রেস্তোরাঁ ও সড়কসংলগ্ন দোকানে খাবার তৈরিতে পিএইচও বা ডালডা ব্যবহৃত হয়। প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ট্রান্সফ্যাটঘটিত হৃদরোগে মৃত্যুবরণ করে।


 


বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল আলীম বলেন, “যত প্রতিবন্ধকতাই আসুক দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে ট্রান্সফ্যাট প্রবিধানমালা বাস্তবায়ন করতে হবে এবং মানুষকে ট্রান্সফ্যাট ঘটিত রোগ থেকে মুক্তি দিতে হবে।”  


 


বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) এর উপ-পরিচালক (কৃষি ও খাদ্য- মান উইং) এনামুল হক জানান, “প্রবিধানমালা অনুসারে খাদ্যে ট্রান্সফ্যাট এর পরিমাণ নির্ধারিত মাত্রায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে বিএসটিআই ইতোমধ্যে স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন এর কাজ শুরু করেছে।”


 


ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের ইপিডেমিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, “প্রবিধানমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে খাবার থেকে ট্রান্সফ্যাট নির্মূল করতে পারলে মানুষকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার আওতায় আনা সম্ভব হবে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যাবে।”


 


বারডেম জেনারেল হাসপাতালের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শামসুন্নাহার নাহিদ বলেন, “ট্রান্সফ্যাট শরীরে ভালো চর্বির পরিমাণ কমায় এবং খারাপ চর্বির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় যার ফলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।”


 


২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল ট্রান্সফ্যাট এলিমিনেশন প্রতিবেদন অনুযায়ী পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ বিশ্বের ৪৩টি দেশ ইতিমধ্যে খাদ্যে ট্রান্সফ্যাটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে 'সর্বোত্তম নীতি' বাস্তবায়ন করলেও, বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে রয়েছে।


 


ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর এর বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস এবং প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক জনাব এবিএম জুবায়ের। ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন প্রজ্ঞা’র কোঅর্ডিনেটর সাদিয়া গালিবা প্রভা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এই ওয়েবিনারে অংশ নেন।

 


শেয়ার করুন

সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

0comments

মন্তব্য করুন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।