মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করাই প্রধান চ্যালেঞ্জ: প্রধানমন্ত্রী

Seba Hot News
0

সেবা ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করাই প্রধান চ্যালেঞ্জ প্রধানমন্ত্রী



তিনি উল্লেখ করেন, "আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আমরা কীভাবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করব। আমাদের এটি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।" প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার সময় মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৩ শতাংশ এবং রিজার্ভ ছিল এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও কম। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতিকে একটি বড় অবস্থানে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে সরকার।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, তখন বাজেটের আকার ছিল মাত্র ৬৮ হাজার কোটি টাকা, আর এবারে আওয়ামী লীগ সরকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়েছে। “আমাদের বাজেট বাস্তবায়ন করতে হবে,” তিনি বলেন। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা, গাজায় গণহত্যা এবং কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বিশ্ব অর্থনীতি এখন অর্থনৈতিক মন্দা ও উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির সম্মুখীন হয়েছে। এর হাত থেকে বাংলাদেশকেও বাঁচানো যায়নি, তবে দেশ একটি বড় বাজেট দিতে সক্ষম হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণ সহজ করতে বাংলাদেশ তার প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। বাজেট খুব বড় নয়, কিন্তু দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে এটি প্রণয়ন করা হয়েছে। বাজেটে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে যাতে এসব ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতির চাপ না আসে।

শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, তাঁর সরকার সীমিত আয়ের মানুষের জন্য পারিবারিক কার্ড দিয়েছে এবং হতদরিদ্র মানুষদের জন্য খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। সরকারের সামাজিক নিরাপত্তাবলয় কর্মসূচির আওতায় দরিদ্র ও অস্বচ্ছল মানুষদের জন্য বিভিন্ন ভাতা প্রদান করা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনই তাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ, যার জন্য আওয়ামী লীগ বারবার দেশ-বিদেশের সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত মোকাবিলা করে ক্ষমতায় এসেছে। “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। বিরোধী দল জানত নির্বাচন হবে না, তাই তারা বর্জন করেছিল। আমরা বুঝতে পেরেছিলাম নির্বাচনের পরেও ষড়যন্ত্র ছিল,” তিনি বলেন।

প্রধানমন্ত্রী জানান, এবার আওয়ামী লীগ এককভাবে ২২৩টি আসন লাভ করেছে এবং ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে এককভাবে ২৩৩টি আসন পেয়েছিল, আর বিএনপি জোট পেয়েছিল ৩০টি আসন। বিরোধী দলও এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি পরাজয়ের ভয়ে নির্বাচন বর্জন করে কারণ তাদের দলের নেতৃত্বের সংকট রয়েছে, যেহেতু শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, দুর্নীতি, ২০০৪ সালের ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলা এবং ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার অভিযোগ রয়েছে।

(ads1)

Post a Comment

0Comments

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top