রায়হান উদ্দিন সরকার, বিশেষ প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বিশ্ব পর্যটন দিবসে উপজেলার প্রাচীন নিদর্শন ও ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের পুরাকীর্তির তালিকাভুক্ত করে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবিতে আলোচনা সভা, র্যালি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় কৃষ্ণপুর জমিদারবাড়ির বর্তমানে গৌরীপুর সরকারী কলেজের প্রাচীন ও মূল ভবনের সামনে ক্রিয়েটিভ এসোসিয়েশন হিস্টোরিক্যাল সোসাইটি এন্ড লাইব্রেরি ও ক্রিয়েটিভ এসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে র্যালি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
দিনব্যাপী কর্মসূচী হিসেবে বিকাল ৪টায় ঐতিহাসিক ধান মহালস্থ ক্রিয়েটিভ সন্ধানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্লাবের মিলনায়তনে সংগঠনগুলোর উদ্যোগে ডিসপ্লে ও আলোচনা সভা হয়েছে।
র্যালি ও মানববন্ধনে বক্তব্য দেন দি ইলেক্টোরাল কমিটি ফর বীরাঙ্গনা সখিনা সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড কমিটির সহ সভাপতি ও সরকারী টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট এর অবসর প্রাপ্ত সুপাররিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, ক্রিয়েটিভ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন সরকার, সাংবাদিক মো. সাইফুল আলম, সমাজকর্মী মো. সামছুল ইসলাম, সাংবাদিক মো. দিলীপ কুমার দাস, সাংবাদিক সুপক রঞ্জন উকিল, এসিক ইয়ুথ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ শাহ, মো. রমজান আলী মুক্তি প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ময়মনসিংহের উত্তরের জনপদ গৌরীপুর রাজা-জমিদারদের স্মৃতি বিজড়িত একটি ঐতিহাসিক স্থান।
এখানে রয়েছে মুঘল-সুলতানি ও ইংরেজ আমলের বহু প্রাচীন নিদর্শন, ১২টি জমিদারবাড়ির ইতিহাস ও নিদর্শন, প্রাচীন মসজিদ, ঐতিহাসিক দীঘি, মন্দির, মধ্যযুগের মাজার, দু'টি কেল্লা বা ফোর্টের ধ্বংসাবশেষ ও ইতিহাসখ্যাত ব্যক্তিবর্গের সমাধি।
এ ছাড়াও রয়েছে প্রাচীন পূর্ব বাংলার গীতিকার দ্বারা সমৃদ্ধ বীরাঙ্গনা সখিনার ইতিহাস ও তার সমাধি, মুঘল আমলের খাজা উসমান খাঁর স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন কেল্লার নিদর্শন। এই স্থাপনাগুলো প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের পুরাকীর্তির তালিকাভুক্ত করে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি জানানো হয়।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।