হারুন ইসলাম : জামালপুরের বকশীগঞ্জের ধানুয়া কামালপুর স্থল বন্দরে তিন মাস ধরে আমদানি বন্ধ। এতে ৬ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। শুল্ক, অতিরিক্ত চার্জ, ওয়ে ব্রীজ নিয়ে সমস্যা এবং ভারতের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির কারণে ব্যবসায়ীরা পাথর আমদানি বন্ধ রেখেছেন। রাজস্ব আদায়ে ধস নামায় সরকারও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
জামালপুরের বকশীগঞ্জে অবস্থিত ধানুয়া কামালপুর স্থল বন্দরে তিন মাস ধরে আমদানি বন্ধ থাকায় প্রায় ৬ হাজার পাথর ভাঙার শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পাশাপাশি, বন্দরের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত এবং সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
১৯৭৪ সালে চালু হওয়া ধানুয়া কামালপুর এলসি স্টেশন ২০১৫ সালে পূর্ণাঙ্গ স্থল বন্দরে পরিণত হলেও বন্দরটি সবসময়ই সীমিত কার্যক্রমে চলে আসছে। বর্তমানে ইমিগ্রেশন চালুর লক্ষ্যে প্রায় ৬০ কোটি টাকার অবকাঠামো নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে, তবে আমদানিতে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে।
বন্দরে আমদানি বন্ধের মূল কারণগুলো হলো অতিরিক্ত শুল্ক ও চার্জ, ভারতের পাথরের বেশি মূল্য এবং ব্যবসায়ীদের সুবিধামত আমদানির সুযোগ না থাকা। পাশের রৌমারী বন্দরে ওয়ে ব্রীজ না থাকায় ব্যবসায়ীরা সেখানে বেশি লাভবান হচ্ছেন, ফলে ধানুয়া কামালপুর বন্দর থেকে আমদানি কমে গেছে।
বন্দরটির শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার দাস জানান, ভারতের অভ্যন্তরে রাস্তার সমস্যার পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে ব্যবসায়ীরা পাথর আমদানি শুরু করলে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অহনা জিন্নাত জানান, দ্রুত বন্দরের সমস্যাগুলোর সমাধান করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন, দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে বন্দরের কার্যক্রম পুনরায় চালু করা এবং শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা জরুরি।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।