সেবা ডেস্ক: জামালপুরের বকশীগঞ্জে বিয়েবাড়িতে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদা দাবি করেছেন শাহরিয়ার সুমন। ঘটনাস্থলে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে স্থানীয়রা তার গ্রেপ্তার দাবি করেছে।
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের খাপাড়া এলাকায় বিয়ের আয়োজনকে কেন্দ্র করে শাহরিয়ার সুমন নামে এক ব্যক্তি চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। শাহরিয়ার নিজেকে গণঅধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি ও বকশীগঞ্জ ছাত্র সমন্বয়ক হিসেবে পরিচয় দিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
খাপাড়ায় দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের আয়োজন চলাকালে, শাহরিয়ার সুমন তার সহযোগীদের নিয়ে সেখানে হাজির হন। অভিযোগে জানা যায়, তিনি বিয়ে অনুষ্ঠানকে বাল্যবিয়ে হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে এক লাখ টাকা দাবি করেন এবং প্রশাসনকে ফোন করার ভয় দেখান।
কনে পক্ষ আপসের চেষ্টা করে এবং সুমনকে প্রথমে ছয় হাজার টাকা দিতে চাইলে তিনি তা নিতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর তিনি দাবি করেন, "পোলাপানদের বিদায় দিতে ৩০ হাজার টাকা লাগবে।"
এ ঘটনায় কনের বড় ভাই বকশীগঞ্জের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়ককে ফোন দেন। কিছুক্ষণ পর রাশেদুজ্জামান রাজু ও সাদসহ আরও ৬-৭ জন সমন্বয়ক সেখানে উপস্থিত হন। তাদের দেখে শাহরিয়ার সুমন ও তার সহযোগীরা মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শাহরিয়ার সুমন পালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেন এবং পরিস্থিতি বেগতিক দেখে নিজেও বিয়েবাড়ি ত্যাগ করেন। এলাকাবাসী শাহরিয়ার সুমনের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
ঘটনার পর এলাকাবাসী পুলিশের কাছে বিষয়টি জানায়। এদিকে বিয়ের আয়োজনে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি ভয়ভীতি দেখানোয় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। তারা শাহরিয়ার সুমন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।