শফিকুল ইসলাম: রৌমারীতে ছাত্রদের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামের মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ ও মানববন্ধন পালন করেছে ছাত্র-জনতা।
মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক কর্মচারীর উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মিছিলটি বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষন শেষে কর্তিমারী বাজারের মহাসড়কে এসে জমায়েত হয়।
পরে বক্তব্য রাখেন ছাত্র মো. রাজু আহম্মেদ, রায়হান, আহসানুল আশিক, লালন, স্বাধীন, মিতা, দিশা, কাকলী, শিক্ষক মো. আবুল হাসেম, শরিফ আহম্মেদ, মিজানুর ও আমিনুল ইসলাম প্রমূখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, এ প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম একজন ঘুষখোর, প্রতারক দুর্নীতিবাজ, জালিয়াতির কারিগর ও হাফডজন মামলার আসামি।
এসব অনিয়ম দুর্নীতির দায়ে ছাত্র-জনতার সামনে গত ৮ আগষ্ট স্বেচ্ছায় ইস্তেফা প্রদান করেন। এসবের পরেও তিনি ২৬শে সেপ্টেম্বর ছাত্র শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা করেন। তারা এ মামলা প্রতাহারের দাবী জানান।
এ ব্যপারে অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, ১০ আগষ্ট প্রতিষ্ঠানের কমিটি রেজুলেশনের মাধ্যমে ইস্তেফাটি অনুমোদনসহ সহকারী অধ্যপক শফিকুল ইসলাম কে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেন।
এ নিয়ে আমি রেজুলেশনটি স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করি। পরে হাইকোর্ট রেজুলেশনটি স্থগিত করেন।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, এক কুচক্রীমহল লিখিত পদত্যাগপত্র নিয়ে আমাকে জীবননাশের হুমকি দিয়ে অধ্যক্ষ পদ হতে ইস্তফা দিতে জোরপূর্বক বাধ্য করেন। এতে নিরুপায় হয়ে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করি।
তিনি আরও বলেন, পরে ন্যায় বিচার এবং অধ্যক্ষ পদ ফেরত পেতে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করি। পরে পদত্যাগ পত্রের রেজুলেশনটি বিজ্ঞ আদালত স্থগিত করেন। আমি যাদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করি তাদের মধ্যে একজন সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, তার ছেলে ও ছেলে বন্ধু একজন ও অপর তিনজন এই কলেজের শিক্ষক। আমি কোন ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা করিনি।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।