সেবা ডেস্ক: ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেলের জনপ্রিয়তা বাংলাদেশেও ছড়িয়েছে। ই-কমার্স সাইট ও স্টোরগুলোতে বিশাল ছাড়ে পণ্য কেনার সুযোগ পান ক্রেতারা।
‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ সেল: কেনাকাটার মহোৎসব |
কয়েক বছর আগেও ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ শব্দটি বাংলাদেশে তেমন পরিচিত ছিল না। তবে, এখন এটি একটি পরিচিত নাম, বিশেষত কেনাকাটার ক্ষেত্রে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও ব্ল্যাক ফ্রাইডে উপলক্ষে বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইট ও শোরুমগুলোতে বিশাল ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
ব্ল্যাক ফ্রাইডে প্রথম শুরু হয়েছিল ১৮৬৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সে বছর মার্কিন সোনার বাজারে বিপর্যয় নেমে এসেছিল, যার ফলে অর্থনৈতিক মন্দা তৈরি হয়। ব্যবসায়ীরা মন্দা কাটানোর জন্য নভেম্বরের শেষ শুক্রবার বিশেষ ছাড়ের দিন নির্ধারণ করেন। এই দিনটি ধীরে ধীরে কেনাকাটার উৎসবে পরিণত হয়।
বর্তমানে এটি শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, এবং বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশেও জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিশেষ করে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ও অফলাইন স্টোরগুলোতে বিশাল ছাড় দিয়ে পণ্য বিক্রি হয়।
বাংলাদেশে ব্ল্যাক ফ্রাইডে মূলত ই-কমার্স সাইট ও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্টোরগুলোর প্রচারণায় জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিশেষ করে পোশাক, ইলেকট্রনিকস এবং অন্যান্য পণ্যে বিশাল ছাড়ে কেনাকাটা করার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা। বলা হয়ে থাকে, ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে বিক্রির পরিমাণ সারাবছরের তুলনায় অনেক বেশি।
এমনকি, কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, ১০০০ ডলার মূল্যের টিভি ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে মাত্র ২০০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। ওয়ালমার্টের মতো বড় কোম্পানিগুলো ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে নেট মুনাফা কয়েক বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে সক্ষম হয়।
ব্ল্যাক ফ্রাইডে মূলত ‘থ্যাঙ্কসগিভিং’-এর পরদিন অনুষ্ঠিত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘থ্যাঙ্কসগিভিং’ হচ্ছে একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব, যা নভেম্বরের শেষ বৃহস্পতিবার পালিত হয়। এর ঠিক পরদিন, শুক্রবার, ব্ল্যাক ফ্রাইডের কেনাকাটা শুরু হয়।
ব্ল্যাক ফ্রাইডে শুধু কেনাকাটা নয়, এটি একটি বিশাল বাণিজ্যিক ইভেন্ট। ব্যবসায়ীরা সারা বছর ধরে অপেক্ষা করেন এই দিনের জন্য, কারণ এই দিনে তাদের পণ্য বিক্রি এবং মুনাফার পরিমাণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যায়।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।