শাহ্ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান: জামালপুরের শহরের পুরাতন মিয়াবাড়ীর মেধাবী ছাত্র সৈয়দ এ. এফ. এম. ইয়াহিয়া (১৯৩৭ -১২ই ফেব্রুয়ারি ২০০৯) ১৯৫৪ সালে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাজ্যের নর্ধামটন ইন্জিনিয়ারিং পলিটেকনিক কলেজ, বর্তমানে ইউনিভারসিটি, লন্ডনে পড়তে যান।
![]() |
তওফিক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি দুষ্প্রাপ্য পত্রের সংক্ষিপ্ত আলোচনা |
সেখান থেকে তিনি ম্যাকানিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং এ ডিগ্রী ও লন্ডন Royal Ordinance Factory থেকে গোলা-বারুদের উপর ৫ বছর মেয়াদের প্রশিক্ষণ সুনামের সাথে গ্রহণ করেন। তার ডাকনাম শিবলী।
![]() |
সৈয়দ এ. এফ. এম. ইয়াহিয়া |
তিনি ছিলেন চার ভাই-তিন বোনের মধ্যে জ্যেষ্ঠ। এই কৃতী ছাত্রের পিতার নাম সৈয়দ এ. টি. এম. ফজলুর রহমান ও মাতার নাম মোসাম্মৎ রাশেদা বেগম। ১৯৫৪ সালের ১৭ই ডিসেম্বর নিম্নের এই পত্রটি তিনি তার বাবাকে লিখেন। উল্লেখ্য, এই মেধাবী ছাত্র কর্মজীবনে পাকিস্তান সরকারের গোলা-বারুদ কারখানা ও পরবর্তীকালে লিভার ব্রাদার্স কোম্পানীতে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে উচ্চ পদে কর্মজীবন অতিবাহিত করেন।
![]() |
সাপ্তাহিক তওফিক পত্রিকায় প্রকাশিত পত্র |
তার সহোদর অনুজ সৈয়দ সাকিবুদ্দীনের মাধ্যমে সংগৃহীত সাপ্তাহিক তওফিক পত্রিকায় প্রকাশিত পত্রটির কম্পোজকৃত পাঠোদ্ধার নিম্নরূপ :
লণ্ডনের চিঠি
(শিবলী)
লণ্ডন
* * * * ১৭। ১২। ৫৪
রাত্রি এগারটায় Airport থেকে আদার সঙ্গী খাঁন মোহাম্মদ আহছান খান, ইউছুফ জাইএর সহিত Custom officeএর ‘এতে কি আছে’ জবাব দিয়া সেই P.IA. তে। চড়লাম। অবশ্য এখন এটা Chartered অর্থাৎ শুধু Govt officers দের জন্য। কেহ ইংল্যান্ড বাসী ছুটীতে স্বপরিবারে বাড়ী যাচ্ছে, কেহ কোন Course নিয়ে যাচ্ছে বা কেহ Trainee যেমন আমরা।
আমার Course এর একজনই ছিল। বাকী ৩ জন পূর্ব্বেই চলিয়া আসিয়াছে খান ইউছুফ জাইকে করাচী Airport এ বিদায় দিবার জন্য তার মা, বাবা, ও চাচা এবং আরো দুইজন আত্মীয় আসিয়াছিলেন। বাবা বৃদ্ধ এবং Retired officer খুব ভদ্র নম্র বলে মনে হলো। তাঁর মা খুব খোদা ভক্ত ও মুছুল্লি মেয়ে বোঝা গেল। বোরখা পাড়য়া এসেছিলেন। সর্ব্বক্ষণ মাঝে মাঝে ফু দিতে ছিলেন এবং বলছিলেন আমাকে যে “জিতে রহো বেটা, তোম্ দুনো ভাই বনকে রহো এবং আমার পিঠ হাতাইয়া দিচ্ছিলেন। আহছান ছেলেটিও ভদ্র ফর্শা B.Sc. final এ ছিল
রাত্রে আরব সাগর এবং আরব মরুভুমি পার হয়ে কায়রোতে করাচী সময় ৮॥টায় পৌছলাম। অথচ আশ্চর্য্য তখন সেখানে অন্ধকার। প্লেন থেকে নেমে দুঘণ্টার জন্য Airport Caffe তে বসে বিশ্রাম নিলাম।
*
তারপর অনেকক্ষন একটানা Mediterinian sea পার হলাম, তারপর গ্রীসের উপর দিয়ে
Adriatic পার হলাম। গ্রীসের উপকুল দিয়ে ঠবহরপব সহর দেখতে পেলাম, এটা খুব বড় ও সুন্দর সহর মনে হলো। তারপর সুন্দর Italy পার হয়ে সুইজারল্যাণ্ড এ প্রচুর মেঘের জন্য কিছুই দেখিতে পেলামনা, কিন্তু কালো পাহাড় এবং তার ফাকে উপত্যকায় ছোট ২ সহরগুলি এবং আলপস পর্ব্বতের তুষার ধবল চূড়া এবং মেঘের উচা নিচা তুলার পাজার মত আকৃতি ভূলবার নয়। France পার হলাম কতকটি মেঘের উপর দিয়ে তবে মাঝে ২ যা দেখলাম তাতে বেশ সুন্দর সাজান সহর এবং খুব সোজা লম্বা রাস্তা ভাল লাগল। ইংলিশ চ্যানেল ১০ মিনিটে পার হয়ে সেই Londonএ পৌছলাম। আজ এই পর্যন্ত তারপর পরে জানাব। আরজ ইতি-
স্নেহের শিবলী
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।