শফিকুল ইসলাম: ঘুষের টাক নেওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়া কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম মন্ডলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
![]() |
রৌমারীতে ঘুষের টাকা নেওয়া সেই আলোচিত ভূমি কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার |
ইতিমধ্যে অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে রৌমারী থেকে প্রত্যাহার করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার উজ্ঝল কুমার হালদার।
উল্লেখ্য যে, উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম মন্ডলের ঘুষ লেনদেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ ফেইসবুক এর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
দুই মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে ভুক্তভোগী ওই কর্মকর্তার কথোপকথন এবং ১১ হাজার টাকা গুণে নেওয়ার দৃশ্য।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বন্দবেড় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার পরিষদের একটি বিশ্রাম কক্ষে বিছানার ওপরে বসে সিগারেট খাচ্ছেন।
আরও পড়ুন:
এসময় হাস্যোজ্জল অবস্থায় জনৈক ব্যক্তির নিকট হতে জমির কাগজপত্র দেখেন ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম মন্ডল। কথোপকথনের এক পর্যায় তাকে ৫’শ টাকার নোট গুণে মোট ১১ হাজার টাকা দেন এক ব্যক্তি।
এসময় ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম মন্ডল টাকা গুণে নেওয়ার সময তিনি বলেন, বেশি করে দেন। বড় স্যারের কাছে গেছেন যহন। কাল না কলেন ১৫ দিমু।
টাকা দেয়া ব্যক্তি বলেন, কো,আপনি শুনতে ভুল করেছেন। ছড়িয়ে পড়া ভিডিও’র সূত্র ধরে বন্দবেড় ইউনিয়নের চর বন্দবেড় গ্রামের আব্দুল্লাহেল কাফী ঘুষের টাকা লেনদেনের ভিডিও’র সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার ৩ একর সাড়ে ৪ শতক জমির খাজনা দিতে বন্দবেড় ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যাই।
সেখানে ভূমি কর্মকর্তা আমার কাছে সরকারি হিসেব অনুযায়ী ১ লাখ ১২ হাজার টাকা খাজনার হিসাব দেন।
এ সময় আমি বলি-২০২৪ সাল পর্যন্ত খাজনা দেওয়া আছে। এতো টাকা কীভাবে হয়? পরে ভূমি কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম মন্ডল আমাকে আড়ালে ডেকে নিয়ে এক লাখ টাকায় নিষ্পত্তি করে দিতে চান। পরে দরকষাকষি করে ৭১ হাজার টাকা রফাদফা হয়।
গত মাসে আমি ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছি। গত সপ্তাহে বাকি ১১ হাজার টাকা তার খাস কামরায় দিয়েছি। এসময় কে বা কারা ভিডিও করেছে আমি জানিনা।
তবে ভূমি কর্মকর্তার কাছে যখন খাজনার দাখিলা পাই। সেখানে দেখতে পাই ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে মাত্র এক হাজার ৫০৫ টাকা পরিশোধ দেখিয়েছেন তিনি। এই বিষয়ে তিনি কোথাও অভিযোগ করেননি বলেও নিশ্চিত করেন।
প্রত্যাহারের বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল ছালাম মন্ডল বলেন, আমি প্রত্যাহারের চিঠি পেয়েছি।
প্রত্যাহার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জল কুমার হালদার বলেন, অভিযুক্ত সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে রৌমারী থেকে প্রত্যাহার করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তার শাস্তির বিষয়ে কিকি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না, জেলা প্রশাসক স্যার ভালো জানেন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।