সিরাজগঞ্জে রাজনৈতিক সহিংসতা: দুই দোকান লুট, বাড়িতে হামলা

Seba Hot News : সেবা হট নিউজ
0

কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার চরগিরিশ ইউনিয়নের দক্ষিণ ছালাল গ্রামে গত ৬ জুন রাত সাড়ে আটটার দিকে সংঘটিত হয় একটি নৃশংস হামলা। স্থানীয় বিএনপির যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এই হামলায় যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

সিরাজগঞ্জে রাজনৈতিক সহিংসতা দুই দোকান লুট, বাড়িতে হামলা
সিরাজগঞ্জে রাজনৈতিক সহিংসতা: দুই দোকান লুট, বাড়িতে হামলা, পরিবার আতঙ্কে


শামিম রেজা নামের এক ভুক্তভোগী জানান, ৫ জুন বিকেলে ছালাল বাজারে তাদের পরিবারের মালিকানাধীন একটি কাপড়ের দোকানে তাঁর বড় ভাই সাদ্দাম হোসেন ছিলেন। এ সময় এক ১৪-১৫ বছরের কিশোর এসে পেট্রোল দেওয়ার জন্য বলে। কাপড় কাটতে ব্যস্ত থাকায় সাদ্দাম একটু দেরি করায় কিশোরটি তাকে গালিগালাজ করে চলে যায়।


এর পরদিন রাত ৮:৩০টার দিকে সুজন চাকলাদার ও রবিউলের নেতৃত্বে মোটরসাইকেলযোগে ২০-৩০ জন ব্যক্তি এসে সাদ্দাম হোসেনকে দোকান থেকে বের করে এনে মারধর করতে শুরু করে। সাদ্দাম কোনোভাবে দৌড়ে আত্মরক্ষা করলেও হামলাকারীরা তখন আরও উত্তেজিত হয়ে পড়ে।


আরও পড়ুন:


প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে শামিম জানান, কিছু সময়ের মধ্যেই আরও ১০০-১৫০ জন যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাজারে আসে। তারা বাজারের সব দোকান জোরপূর্বক বন্ধ করে দেয়। এরপর সাদ্দাম ও সাহালির দুটি দোকান ভাঙচুর করে, মালামাল লুট করে নিয়ে যায় এবং চাপাতি দিয়ে দোকানের কাঠামো কুপিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে।


এতেও ক্ষান্ত হয়নি হামলাকারীরা। তারা সাদ্দাম হোসেনের বাড়িতে গিয়ে তিনটি জানালার কাচ, বিদ্যুতের মিটার এবং বাড়ির পুরোনো দোকানের বেড়া ভাঙচুর করে। তখন বাড়িতে কেবল দুই শিশু ভাতিজা ও ভাবি ছিলেন। বাকিরা জীবন বাঁচাতে আত্মগোপনে ছিলেন। পরে হামলাকারীরা শামীমের চাচা আনোয়ার মেম্বারের বসতবাড়িতেও হামলা করে, বাড়িও লুট করে।


শামিম বলেন, "আমরা ৯৯৯-এ একাধিকবার ফোন দিই, থানার ওসি আশ্বাস দিলেও স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি থেকে কেউ যোগাযোগ করেনি। পাশে নদী থাকায় সরাসরি আসাও সম্ভব হয়নি। পরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে রাত ১:৩০টার দিকে সহায়তা পাই। তারা এলেও ততক্ষণে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। কাউকে ধরা যায়নি।"


ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছে—সুজন চাকলাদার, রবিউল, ময়নাল শিয়াল, রশিদ শিয়াল ও নাসিম। এদের মধ্যে সুজন ও রবিউল বিএনপির ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি পদপ্রার্থী বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগীরা দাবি করেছেন, স্থানীয় বিএনপি ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও হামলায় পরোক্ষভাবে জড়িত।


শামিম রেজা বলেন, "আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত না, শুধু সাধারণ ব্যবসায়ী। তবু আমাদের এমন নির্মমভাবে টার্গেট করা হলো। এখন আমরা প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকির মধ্যে আছি।"


অভিযুক্তদের ফোনে যোগাযোগ করলে তাদের ফোন বন্ধ থাকায় কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরে আলম জানান, থানায় এখনও কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




সূত্র: /সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশ্যে আপোষহীন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top