কাজিপুরে কাজ শেষে ঠিকাদার জানলেন বরাদ্দের অর্থ ফেরত গেছে

Seba Hot News : সেবা হট নিউজ
0

কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার এক ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তার (ইউপি সচিব) অবহেলার কারণে দুইটি উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দের প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত গেছে।

কাজিপুরে কাজ শেষে ঠিকাদার জানলেন বরাদ্দের অর্থ ফেরত গেছে


ওই প্রকল্প দুটির কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ  হলেও বিল তুলতে পারেননি সংশ্লিষ্ট  ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এদিকে ফেরত যাওয়া টাকা পুনরায় চেয়ে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন সহায়তা তহবিল (বিবিজি) এর প্রকল্প পরিচালক বরাবর সম্প্রতি একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে। কাজিপুরের আলোচিত ওই ইউনিয়নের নাম শুভগাছা। আর সেখানে কর্মরত সচিবের নাম রফিকুল ইসলাম।  


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে প্রথম কিস্তিতে উপজেলার শুভগাছা ইউনিয়নের রইবা হাওলাদারের বাড়ি হতে রতনশীলের বাড়ি পর্যন্ত ঢাকনাসহ ইউড্রেন নির্মাণের জন্য ৪ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা রবাদ্দ দেয় সরকার। পরে দ্বিতীয় কিস্তিতে একই এলাকার দোয়েল নতুন পাড়া ভোলার বাড়ি হতে নজরুলের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের জন্য আরও ৪ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। নিয়ম মোতাবেক কাজ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এসএমএস এন্টারপ্রাইজকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। একইসাথে ঠিকাদারের অনুকূলে  ৯ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকার চেকও প্রদান করা হয়। কিন্তু চেক ব্যাংকে নিয়ে গেলে হিসেবে টাকা না থাকায় চেকটি ডিজওনার হয়। 


আরও পড়ুন:


এ ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আবু সাঈদ বলেন, 'প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। কিন্তু রফিকুল ইসলাম  নির্দিষ্ট সময়ের মধে বিল সাবমিট করেন নাই। ফলে টাকা ফেরত গেছে। কাজ শেষ হলেও ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করতে পারছি না, খুব ভোগান্তিতে পড়েছি।'

আরেক প্রকল্প সভাপতি ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'আমরা নিজেরাই ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ব্যবহার করে কাজ করেছি। কাজ শেষও করেছি। কিন্তু বিল পাইনি।  উল্টো প্রকল্পের রিটার্নশন মানি ও ভ্যাট-আইটির টাকা আমাদের থেকে চলে গেছে।'

এ ব্যাপারে শুভগাছা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রফিকুল ইসলাম জানান, আমার ভুল হয়েছে। খেয়াল ছিলো না।  বিষয়টি আমি ডিডিএলজি স্যারকে জানিয়েছি। 

শুভগাছা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা চিত্রা রানী সাহা বলেন, ' প্রকল্পদুটির সবকাজ শেষ হয়েছে। ভিজিটও হয়েছে। কিন্তু জুনমাসে বিল সাবমিট দেয়ার কথা থাকলেও সচিব সাবমিট দেননি। তিনি জানেনই না জুনে সাবমিট দিতে হবে। সচিব সাহেবের কম্পিউটার ও অন লাইন সম্পর্কে ধারণা কম।'

পুনরায় বরাদ্দ চেয়ে বিবিজি বরাবর একটি পত্র পাঠিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন,  এখন ফেরত দেবে কিনা জানিনা। ফেরত পেলে ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করা যেত।'

 কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেওয়ান আকরামুল হক বলেন, সামনের বরাদ্দে প্রকল্প দুটি দেখিয়ে অর্থ প্রদান করা হবে। 




সূত্র: /সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশ্যে আপোষহীন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top