কাজিপুর(সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: দাফনের তিনদিন পর কৃষক আব্দুস সাত্তার(৬৭) এর লাশ কে বা কারা রাতের আধাঁরে উত্তোলন করে সোনামুখী পশ্চিমপাড়া থেকে সোনামুখী পূর্বপাড়ায় নিয়ে দাফন করেছে।
এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার সোনামুখী গ্রামে। শনিবার দিবাগত রাতে সোনামুখী জান্নাতুল বাকী কবরস্থান থেকে লাশটি উঠিয়ে নেয়া হয়েছে।
প্রতিবেশী ও আব্দুস সাত্তাররের ভাতিজা মজনু মিয়া জানান, তিনি একাই সোনামুখী পূর্বপাড়া আমার বাড়ির পাশে বাড়ি করে থাকতেন।
তার পুরো পরিবার থাকে অন্য গ্রামে। গত ৯ জুলাই হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। পরে ওইদিনই তার লাশ সোনামুখী জান্নাতুল বাকী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এরপর আজকে রবিবার (১৩ জুলাই) সকালে চাচার বাড়ির পাশে নতুন একটি কবর দেখতে পাই। ধরাণা করা হচ্ছে নতুন এই কবরটি তার হতে পারে।
সোনামুখী ওই কবরস্থানের পাশের বাড়ির এক বৃদ্ধ জানান, অনেক রাতে কবরস্থানের দিকে খোড়াখুড়ির শব্দ পেয়ে এগিয়ে যাই।
একটু দূর থেকে দেখি পাঞ্জাবি পরা পাঁচজন ব্যক্তি ওই কবর খুঁড়ছে। সামনে এগিয়ে যেতেই তারা ধমক দিয়ে চলে যেতে বললে সেখান থেকে চলে আসি।
আব্দুস সাত্তারের বন্ধু হোটের ব্যবসায়ী মাসুদ বলেন, সাত্তার সাহেব একজন তরিকাভক্ত লোক ছিলেন। তিনি বিভিন্ন মাজারে ও তরিকার জলসায় ঘুরে বেড়াতেন। মরার আগে তিনি স্বজনদের কবরস্থানের জায়গা নিজের বাড়ির পাশে দেখিয়ে দিয়েছিলেন।
কিন্তু সেই জায়গাটি সরকারি খাস জায়গা হওযায় লোকজন সেখানে কবর দেয়নি। কিন্তু আজকে দেখছি সেখানেই তাকে কে বা কারা নতুন করে কবর দিয়েছে।
সোনামুখী গ্রামের ইউপি সদস্য বেলাল হোসেন জানান, আগেই শুনেছিলাম সাত্তারের লাশ তার বাড়ির নিকটে কবর দেবার কথা তিনি বলে গিয়েছেন।
কিন্তু খাসজমি হওয়ায় সেখানে কবর দেয়নি স্বজনেরা। আজকে দেখলাম কবরস্থান থেকে লাশ তুলে সাত্তারের দেখিয়ে দেয়া জায়গাতেই দাফন করা হয়েছে। কে করেছে তা জানি না।
কাজিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অফিসার পাঠিয়েছি। মনে হয়েছে কে বা কারা লাশটি কবরস্থান থেকে তুলে নতুন স্থানে দাফন করেছে। তবে এ বিষয়ে কারো অভিযোগ নেই।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।