জি এম রাঙ্গা: বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস' পালন করা হয়েছে বগুড়ার পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে।
আজ ৫ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে এ উপলক্ষে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুহাঃ সুজন শাহ-ই ফজলুল। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. চিত্ত রঞ্জন মিশ্র। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে টিএমএসএস-এর উপনির্বাহী পরিচালক-২ রোটারিয়ান ড. মো. মতিউর রহমান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর আনসার আলী তালুকদার বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন:
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং টিএমএসএস-এর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক টি.এম আলী হায়দার। তিনি তার বক্তব্যে 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান'-এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “এই অভ্যুত্থান ছিল জনগণের অধিকার আদায়ের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তৎকালীন শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধ কীভাবে একটি জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে, তা এই অভ্যুত্থান আমাদের শিখিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানাতে হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে এ ধরনের ঐতিহাসিক ঘটনা থেকে অনুপ্রেরণা নিতে হবে।
প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. চিত্তরঞ্জন মিশ্র বলেন, “গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের অধিকার আদায়ে এই অভ্যুত্থান একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছিল।” তিনি আরও জানান, এই দিবস উদযাপনের উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশপ্রেম ও ইতিহাস সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
আলোচনা সভায় বক্তারা গণঅভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, তাৎপর্য এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটে এর প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, এই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা নতুন প্রজন্মকে একটি উন্নত ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনে অনুপ্রাণিত করবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।