পূর্বাচল প্লট কেলেঙ্কারি: শেখ হাসিনা, রেহানা ও টিউলিপের ভাগ্য নির্ধারণ আজ

Seba Hot News : সেবা হট নিউজ
0

সেবা ডেস্ক: আজ সোমবার বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে চিহ্নিত হতে যাচ্ছে। দেশের অন্যতম আলোচিত পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে নজিরবিহীন দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আজ রায় ঘোষণা করা হবে।

Purbachal plot scandal: Fate of Sheikh Hasina, Rehana and Tulip to be decided today
পূর্বাচল প্লট কেলেঙ্কারি: শেখ হাসিনা, রেহানা ও টিউলিপের ভাগ্য নির্ধারণ আজ




এই মামলার প্রধান আসামিরা হলেন ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছোট বোন শেখ রেহানা এবং শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম আজ এই রায় ঘোষণা করবেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক, সবার দৃষ্টি আজ আদালতের দিকে। দীর্ঘদিনের বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ জানা যাবে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাৎ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে ক্ষমতাচ্যুত এই প্রভাবশালী পরিবারের সদস্যদের কপালে কী রায় জুটছে।

দুদকের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি তরিকুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন যে, আজ সোমবার এই হাই প্রোফাইল মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। এই রায়কে কেন্দ্র করে আদালত পাড়ায় নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মামলার গুরুত্ব এবং আসামিদের রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যেও এই রায় নিয়ে ব্যাপক কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। 

বিশেষ করে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তার ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে যেসব দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, তার মধ্যে পূর্বাচল প্লট কেলেঙ্কারি অন্যতম। এই মামলায় শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও টিউলিপ সিদ্দিকসহ মোট ১৭ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল।

মামলার বিবরণে জানা যায়, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প, যা রাজধানী ঢাকার অদূরে একটি আধুনিক উপশহর হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তা একপর্যায়ে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়।

 অভিযোগ রয়েছে, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে, ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এবং রাষ্ট্রীয় আইন লঙ্ঘন করে নিজেদের নামে ও বেনামে প্লট বরাদ্দ নিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা। 

এই প্রক্রিয়ায় তাদের সহায়তা করার জন্য প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) শীর্ষ কর্তারা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। 

দীর্ঘ তদন্ত শেষে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আদালতে যে অভিযোগপত্র দাখিল করেছিল, তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাভবান হয়েছেন।

আজকের এই রায়ে শুধু শেখ পরিবারের সদস্যরাই নন, বরং প্রশাসনের একঝাঁক সাবেক আমলা ও কর্মকর্তার ভাগ্যও নির্ধারিত হবে। এই মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, যিনি তার দায়িত্ব পালনকালে এই অনিয়মের সুযোগ করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। 

এছাড়া আমলাদের মধ্যে রয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, মন্ত্রণালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন-২) মো. অলিউল্লাহ এবং সাবেক অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন। 

রাজউকের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারাও এই দুর্নীতির জালে আটকা পড়েছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন এবং সাবেক সদস্য (উন্নয়ন) মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী।

এছাড়াও রাজউকের সাবেক পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি) মাজহারুল ইসলাম এবং সাবেক উপপরিচালক (এস্টেট ও ভূমি) নায়েব আলী শরীফের নামও আসামির তালিকায় রয়েছে। এমনকি শেখ হাসিনার একান্ত সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনকেও এই মামলায় আসামি করা হয়েছে, যিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রভাব খাটিয়ে এই প্লট বরাদ্দে ভূমিকা রেখেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

গত ৩১ জুলাই আদালত এই মামলায় শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছিলেন। এরপর অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণ ও আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আদালত রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন। বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এবং দীর্ঘসূত্রতা পরিহার করতে আদালত অত্যন্ত তৎপর ছিলেন। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আদালতে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন যে, আসামিরা কীভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে জনগণের সম্পদ কুক্ষিগত করেছেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরাও তাদের মক্কেলদের নির্দোষ দাবি করে আইনি লড়াই চালিয়েছেন। তবে আজ বিচারক মো. রবিউল আলমের রায়ের মাধ্যমেই চূড়ান্ত ফয়সালা হবে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্য ও অন্যদের বিরুদ্ধে মোট ছয়টি মামলা করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই মামলাগুলো কেবল দুর্নীতির অভিযোগ নয় বরং একটি শাসনামলে কীভাবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে পারিবারিক স্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছে তার দলিল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। 

এই ছয়টি মামলার মধ্যে তিনটি মামলার রায় ইতিমধ্যে গত বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হয়েছে। সেই রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, যা দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা। 

একই দিনে ঘোষিত অন্য দুটি মামলার রায়ে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহের এই রায়গুলো দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং আজকের রায়টি সেই ধারাবাহিকতায় আরও একটি বড় আঘাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবারের রায়ে আদালত শুধু শেখ পরিবারের সদস্যদেরই শাস্তি দেননি, বরং একই সঙ্গে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও রাজউকের প্লট বরাদ্দ-সংক্রান্ত দায়িত্বে থাকা আসামিদেরও বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন। এর মাধ্যমে বিচার বিভাগ এই বার্তাই দিতে চেয়েছে যে, অপরাধী যত প্রভাবশালীই হোক না কেন, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। 

আজকের রায়টি টিউলিপ সিদ্দিকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তিনি শেখ রেহানার মেয়ে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তার একটি পরিচিতি রয়েছে। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার পাশাপাশি টিউলিপ সিদ্দিকের নাম এই মামলায় যুক্ত থাকায় এটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে।

পূর্বাচল প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির এই মামলাটি কেবল একটি আইনি প্রক্রিয়া নয়, বরং এটি বাংলাদেশের প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক কাঠামোর রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে যাওয়া দুর্নীতির একটি চিত্র তুলে ধরে। রাজউকের মতো সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান কীভাবে রাজনৈতিক নেতাদের আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করেছে এবং সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করে ভিআইপিদের সুবিধা দিয়েছে, তা এই মামলার তদন্তে উঠে এসেছে। 

সাধারণ মানুষ বছরের পর বছর অপেক্ষা করেও যেখানে একটি প্লট বরাদ্দ পান না, সেখানে এক ফোনে বা ক্ষমতার ইশারায় কীভাবে একের পর এক প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তা জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। আজকের রায়ের মাধ্যমে ভুক্তভোগী জনগণ কিছুটা হলেও ন্যায়বিচারের স্বাদ পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

দুদকের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তারা আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। তারা আশা করছেন, আদালত আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করবেন। বিশেষ করে সরকারি কর্মকর্তারা যারা শপথ ভঙ্গ করে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়েছেন, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত বলে মনে করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। 

অন্যদিকে সাধারণ জনগণ মনে করেন, এই রায় ভবিষ্যতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি শক্ত বার্তা হিসেবে কাজ করবে। কেউ যেন রাষ্ট্রীয় সম্পদকে নিজের পৈতৃক সম্পত্তি মনে না করে, সেই সতর্কতাও এই রায়ের মাধ্যমে নিশ্চিত হবে।

শেখ হাসিনার শাসনামলে তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা একসময় অসম্ভব ছিল। কিন্তু ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর একে একে সব অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র জনসমক্ষে আসতে শুরু করেছে। পূর্বাচল প্লট কেলেঙ্কারি সেই অনিয়মেরই একটি অংশ মাত্র। 

শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও টিউলিপ সিদ্দিকসহ এই ১৭ জনের বিরুদ্ধে আজকের রায়টি বাংলাদেশের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। বিচারক মো. রবিউল আলমের আদালত কক্ষ থেকে কী সিদ্ধান্ত আসে, তার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে পুরো দেশ। 

সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের ভিড় এবং উৎসুক জনতার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গণমাধ্যমকর্মীরাও প্রস্তুত রয়েছেন রায় ঘোষণার পরপরই দেশবাসীকে সেই খবর জানানোর জন্য।

পরিশেষে বলা যায়, আজকের দিনটি বাংলাদেশের বিচার বিভাগের জন্য এক পরীক্ষার দিন। দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র কতটা কঠোর হতে পারে, তা আজ প্রমাণিত হবে। শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এই রায় কেবল তাদের ব্যক্তিগত শাস্তির বিষয় নয়, বরং এটি একটি বার্তা—ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয় এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের পরিণাম কখনোই শুভ হয় না। 

পূর্বাচলের মাটিতে প্রোথিত দুর্নীতির শেকড় উপড়ে ফেলার এই আইনি লড়াইয়ের চূড়ান্ত পরিণতি দেখার অপেক্ষায় এখন সমগ্র বাংলাদেশ। রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই জানা যাবে, প্লট দুর্নীতির দায়ে শেখ হাসিনা, রেহানা ও টিউলিপ সিদ্দিককে কত বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে এবং তাদের সঙ্গে জড়িত সরকারি কর্মকর্তাদের ভাগ্যে কী ঘটছে। ন্যায়বিচারের প্রত্যাশায় তাকিয়ে আছে জাতি।


সূত্র: /সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশ্যে আপোষহীন


জাতীয়- নিয়ে আরও পড়ুন
ডিসেম্বরের শুরুতেই দুঃসংবাদ, এক লাফে বাড়ল সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম
ডিসেম্বরের শুরুতেই দুঃসংবাদ, এক লাফে বাড়ল সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম
শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন: কারণ শর্ট সার্কিট, নাশকতার প্রমাণ মেলেনি
শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন: কারণ শর্ট সার্কিট, নাশকতার প্রমাণ মেলেনি
শেখ হাসিনার ব্যাংক লকার থেকে ৮৩২ ভরি স্বর্ণালংকার জব্দ
শেখ হাসিনার ব্যাংক লকার থেকে ৮৩২ ভরি স্বর্ণালংকার জব্দ
ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত না হয়ে, কী করবেন❓কী করবেন না❓
ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত না হয়ে, কী করবেন❓কী করবেন না❓
দেশে সাড়ে ৩১ ঘণ্টায় চারবার ভূমিকম্প: আতঙ্ক ও প্রাণহানি
দেশে সাড়ে ৩১ ঘণ্টায় চারবার ভূমিকম্প: আতঙ্ক ও প্রাণহানি

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top