দীর্ঘ প্রতীক্ষিত কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্কের উন্নয়নে কাজ করবে সামিট
টেকনোপলিস লিমিটেড। পাঁচটি ব্লকে বিভক্ত ২৩২ একর জমির হাই-টেক পার্কের ২ ও ৫
নম্বর ব্লকের (যথাক্রমে ৬২ ও ২৯ একর আয়তনের) উন্নয়নে কাজ করবে এই
কোম্পানি। গতকাল রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং
সামিট টেকনোপলিসের মধ্যে এই বিষয়েএকটি কনসেশন এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর হয়েছে।
হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম এবং সামিট
টেকনোপলিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু রেজা খান নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে
স্বাক্ষর করেন।
চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
জুনাইদ আহমেদ পলক এবং গেস্ট অব অনার ছিলেন সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো.
আজিজ খান। আইসিটি সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত
বক্তব্য রাখেন ও পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন হাই-টেক পার্ক
কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম এবং সামিট টেকনোপলিসের
ব্যবস্থাপনার পরিচালক আবু রেজা খান।
অনুষ্ঠানে নসরুল হামিদ বিপু বলেন, ‘সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের সফল রূপায়ন
হিসেবে কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্ক তরুণদের কর্মসংস্থান এবং হার্ডওয়্যার ও
সফটওয়্যার শিল্পের উত্তরণ ও বিকাশের সুযোগ উন্মুক্ত করে দেবে।’ হাই-টেক
পার্ক দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতেও ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত
করেন তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘হাই-টেক পার্ক
বাস্তবায়নের মাধ্যমে দীর্ঘ ১৪ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। গত বছর
আইসিটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর হাই-টেক পার্ককে অগ্রাধিকার দিয়ে
আমরা কাজ করেছি। শিল্পায়ন ও শিক্ষা ক্ষেত্রে হাই-টেক পার্ক স্বপ্ন ও
সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে।’
সভাপতির বক্তব্যে আইসিটি সচিব বলেন, ‘হাই-টেক পার্কে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ
তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে আরও ত্বরান্বিত করবে।
পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মধ্য দিয়ে এই পার্কের বাস্তবায়ন সম্মিলিত
প্রয়াসে দেশের উন্নতিতে অনুকরণীয় হিসেবে বিবেচিত হবে, যা অন্যান্য
ক্ষেত্রেও অনুসরণীয় হবে।’
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কনসেশন এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী সামিট টেকনোপলিস হাই-টেক
পার্কের ২ ও ৫ নম্বর ব্লকের উন্নয়নে ২০৭.৫৯ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। এর
মধ্যে ২ নম্বর ব্লকে মাল্টি-স্টোরিড বিল্ডিং, কনভেনশন সেন্টার, হোটেল,
কাস্টম ইনফ্রাস্ট্রাকচার, ওয়্যার হাউজ এবং শিল্প এলাকার উন্নয়ন করা হবে।
অন্যদিকে ৫ নম্বর ব্লকে পার্ক শিল্প এলাকার উন্নয়ন ছাড়াও ওয়াটার ট্রিটমেন্ট
প্ল্যান্ট এবং সাব-স্টেশন নির্মাণ করা হবে। সরকার ও সামিট টেকনোপলিসের
মধ্যেকার এই চুক্তির মেয়াদ ৪০ বছর, যা পরবর্তীকালে আরও ২০ বছর পর্যন্ত
বর্ধিত হতে পারে।